অদক্ষ ট্রাফিকের অসাধুতায় অতিষ্ঠ নগরবাসি

প্রকাশিত: ১০:১১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০১৬

ফখরুল ইসলাম : ট্রাফিক পুলিশের চাদাঁবাজিতে অতিষ্ট নগরবাসী। সিলেট নগরীর অটোরিক্সা চালক থেকে শুরু করে ট্রাক চালকরাও রেহাই পাচ্ছেনা এ সব অসাধু ট্রাফিক পুলিশের হাত থেকে । নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা আদায় এখন নিত্য নৈমেত্ত্বিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। সদর উপজেলার অটোরিক্সা চালক সোহেল আহমদ জানান, ট্রাফিক পুলিশ এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে , তাদের ইচ্ছা মাফিক উৎকোচ প্রদান না করলে কারণে অকারনে ইচ্ছেমতো মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এ নিয়ে অনেক ট্রাফিক সার্জেন্টের সাথে অটোরিক্সা (সিএনজি) চালকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটলেও নিরব ভুমিকা পালন করছেন ট্রাফিক বিভাগের কর্মকতারা । একাধিক সুত্র জানায়, অসাধু ট্রাফিক সার্জেন্টের অত্যাচার নির্যাতন ও চাদাঁবাজি থেকে মুক্তির লক্ষে এস.এম.পি কমিশনার বরাবরে একাধিক গাড়ির চালক লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও এসব থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না নগরীর গাড়ির চালকরা। গত ১২ আগষ্ট দুপুর ২টায় নগরীর সুবহানিঘাট পয়েন্টে আম্বরখানা স্ট্রেন্ডের চালক আঙ্গুর মিয়ার অটোরিক্সার গতিরোধ করেন । গাড়ির কাগজ দেখাতে বললে আঙ্গুর মিয়া গাড়ির কাগজপত্রও দেখান, কিন্তু অটোরিক্সার কাগজ টিক আছে দেখে টিআই মনির রং পার্কিং এর মামলাদেন । চলন্ত গাড়ি থামিয়ে রং পার্কিং এর মামলা দেওয়া নিয়ে বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে টিআই মনির চালক আঙ্গুর মিয়াকে মারধর করেন এবং কাগজপত্র টিক থাকার পরও চারটি ধারা উল্লেখ করে আঙ্গুর মিয়ার গাড়ির উপর মামলাদেন। আঙ্গুর মিয়া বিষয়টি সিলেট অটোরিক্সা (সিএনজি) শ্রমিক সংঘটনের সভাপতি জাকারিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অবগত করলে তারা সকলে সোবহানিঘাট রোডে অটোরিক্সা (সিএনজি) নিয়ে অবরোধ করেন। পরে ট্রাফিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকতারা সরজমিন এসে সিলেট অটোরিক্সা (সিএনজি) শ্রমিক সংঘটনের নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি সঠিকভাবে নিস্পত্তির আশ্বাস দিলে শ্রমিক সংঘটনের নেতৃবৃন্দরা অবরোধ প্রত্যাহার করে। শ্রমিক সংঘটনের নেতৃবৃন্দরা জানান,এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিস্পত্তি হয়নি।

আরও পড়ুন  রাগীব আলী ও তার পুত্রের ১৪ বছরের কারাদন্ড

এদিকে মেন্দিবাগ এলাকার কার চালক তাজিম আহমদ জানান, গত ১৩ আগষ্ট নগরীর চৌহাট্টা হয়ে যাত্রী নিয়ে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। চৌহাট্টাস্থ আলপাইন রেস্টুরেন্টের সামনে যাওয়া মাত্র সার্জেন্ট নুরে আলম গাড়ির গতিরোধ করেন। গাড়ির কাগজ দেখাতে বললে কার চালক তাজিম আহমদ গাড়ির কাগজপত্রও দেখান, কিন্তু গাড়ির কাগজ টিক আছে দেখে সার্জেন্ট নুরে আলম রং পার্কিং এর মামলা দেন । চলন্ত গাড়ি থামিয়ে রং পার্কিং এর মামলা দেওয়া নিয়ে বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে সার্জেন্ট নুরে আলম কার চালক তাজিম আহমদকে মারধর করেন এবং কাগজপত্র টিক থাকার পরও রং পার্কিং এর ধারা উল্লেখ করে গাড়ির উপর মামলা দেন এমন অভিযোগ ঐ চালকের ।
সিলেট নগর ট্রাফিক অফিস ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ২ থেকে ৩শ গাড়ির চালক প্রতিদিন ভিড় জমান নগর ট্রাফিক অফিসে। প্রতিদিন যে হারে গাড়ির উপর মামলা হচ্ছে সেই অনুযায়ী মামলার ফি নিয়ে মামলা তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছে নগর ট্রাফিক অফিস। অবস্থা বেগতিক দেখে ইতোমধ্যে ড্রাইভারদের নাম ডাকার জন্য মাইক ফিটিং করা হয়েছে।
সিলেট অটোরিক্সা (সিএনজি) শ্রমিক সংঘটনের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ জানান, ট্রাফিক পুলিশ এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে , তাদের ইচ্ছা মাফিক উৎকোচ প্রদান না করলে পদে পদে হয়রানির স্বীকার হতে হয়।
এ ব্যপারে সিলেট নগর ট্রাফিকের সহকারি-পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক) সাথী রানী শর্মা প্রভাত বেলাকে জানান , বিষয়টি আমার জানা নেই তবে এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে যথা যথো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ