উপশহরে কাজি মিসবাহ অবাঞ্চিত

প্রকাশিত: ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০১৬

উপশহরে কাজি মিসবাহ নামের এক ব্যক্তিকে অবাঞ্জিত ঘোষনা করেছেন উপশহর এলাকাবাসী। গতকাল রাতে শাহজালালাল উপশহর একাডেমীর হল রুমে শাহজালাল উপশহর কল্যাণ পরিষদ ও স্থানীয় কাউন্সিলার আয়োজিত এক জরুরী সভায় সকলের সর্বসম্মিতিক্রমে ও গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে এনিয়ে কাজি মিসবাহকে ৩য় বারের মতো অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়। সিলেটের জকিগঞ্জের কাজিপাড়া গ্রামের কাজি ফখরুল ইসলামের ছেলে কাজি মিসবাহ ওরফে (ফ্যারত মিসবাহ) বিভিন্ন অসামাজিক, অবৈধ ও আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় এর আগেও উপশহরে দু’বার তাকে অবাঞ্চিত করা হয়।

শাহজালাল উপশহর কল্যাণ পরিষদের সিনিয়র সদস্য আজাদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জুবের আহমদ খান এর পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন, মিসবাহ উপশহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মিনি পতিতালয়, নেশা ও মাদকব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে এমনকি সহজ-সরল বিদেশীদের বাসা ভাড়া দিয়ে নারী কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। তার এই সকল অসামাজিক, অবৈধ ও আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলা মোকদ্দমার শিকার হতে হয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে। এদিকে তাকে অবাঞ্চিত করা হলে সে এখন উপশহর ত্যাগ করলেও মামলাবাজির আশ্রয়নিয়ে হুমকি-ধমকি প্রদান করে আসছে। এধরণের কর্মকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে মিসবাহকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান বক্তারা।
সভায় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, শাহজালাল উপশহর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির, পরিষদের উপদেষ্টা এডভোকেট আব্দুর রকিব, সদস্য এ.কে.এম বদরুল আমিন হারুন, হাজী কাজী মুজিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মর্তুজা আহমদ চৌধুরী, সদস্য মুজিব, কোষাধ্যক্ষ আফতাব উদ্দিন, সদস্য শামসুল ইসলাম খেতু, ই ব্লক জামে মসজিদের সভাপতি শফিকুল হক, জি ব্লক জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুস সালাম, রফিক উদ্দিন, উপশহর এ.বি ব্লক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির আলম, সাধারণ সম্পাদক আলিম উদ্দিন মন্নান, ই.এফ ব্লক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম, আই.জে ব্লক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছোহরাব মোহাম্মদ আলী, ডি.সি ব্লক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমঙ্গীর হোসেন, মইনুদ্দিন সুহেল প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন আজিজুর রহমান, মনোয়ারুল হক, মো. আব্দুস সালাম, মো. মখলিছুর রহমান, আলহাজ্ব রফিক আহমদ, মো. রুহেল আলম সিদ্দিকী, মো. দিদার হোসেন রুবেল, কাজী আব্দুল জলিল খান, অজি মো. কাওছার, জুনেদ হোসেন, মো. আবুল হামিদ, মো. জহিরুল ইসলাম, এহছান চৌধুরী, মো. সেলিম আহমদ, লোকমান আহমদ, আলমঙ্গীর আলম, আক্তার রাজা, সোহরাব মো. আলী, সাহেল আহমদ খান, মো. আব্দুল জলিল খান, জয়নুল হক, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সুহেল, মো. আফতাব উদ্দিন, এম.এন ইসলাম, ইসলাম উদ্দিন বাবুল, আহমেদ মিতুল, জাহাঙ্গীর আলম নুনু, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, হাজী মো. কামসুল হক, ইকবাল, আলাউদ্দিন, মো. শফিকুল হক, আব্দুল কুদ্দুছ খান, মো. লুৎফুর রহমান খান, ছালিক উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, বুলবুল কামাল, শামীম আহমদ, এ.কে মওদুদ আহমদ, আহমদ আলী খান, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের খান, কালাম, শাহ সাব্বির প্রমুখ। উক্ত সভার মাধ্যমে কথিত এই মিসবার ওরফে ফ্যারত মিসবাহর অপকমের্র বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে সিলেটের পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ