চিকিৎসার অভাবে পঙ্গুত্বের মুখে ছাত্রদল নেতা বদরুল

প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৬

প্রভাতবেলা প্রতিবেদক: সিলেটের দক্ষিন সুরমার ছাত্রদল কর্মী বদরুল আলম । ২০১৫ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে সময় রাজপথ থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতার পরবর্তীতে পুলিশ তার শরীরে গুলি করে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে এমন অভিযোগ দলীয় নেতাকর্মীর ।
মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে বদরুল আলমের জায়গা হয় কারাগারে ।। ‘মিথ্যা’ মামলা রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় তার উপর । বেয়নেটের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত তার ২টি পা । পঙ্গুত্ব বরনের মুখে বদরুল আলম । দীর্ঘ ৮ মাস মিথ্যা মামলায় কারাগারের মেডিকেলে ৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীর্ন ছিল বদরুল ।মুক্তি পরবর্তি গত ৭ মাস বাড়ীতে ও ঢাকা সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বদরুল আলম । কিন্তু ডাক্তার জানিয়েছে অতিরিক্ত আঘাত ও দীর্ঘ দিন সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া বদরুল এর ২টি পা অকেজো হয়েগেছে ।
দেশের বাহিরে উন্নত চিকিৎসা ছাড়া বদরুল আলমকে পঙ্গুত্ব থেকে বাঁচানো সম্ভব নয় । গত কয়দিন আগে আমরা জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল এর একটি টিম দেখা করতে যায় বদরুল এর সঙ্গে ।
এই সময় বদরুল আলম ও তার প্রিয় গর্ভধারণী মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন । অভিযোগ ও কান্না জড়িত কন্ঠে বদরুল ও তার মা জানান দলের জন্য আজ বদরুল পঙ্গু হয়ে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু পথযাত্রী। পাশে দল বা দলের দায়িত্বশীল কেউ নেই ।
দীর্ঘ ৮ মাস কারাবন্দী ও গত ৭ মাস গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকলেও এই পর্যন্ত সিলেট জেলা ছাত্রদল সভাপতি/সম্পাদক কেউ পাশে দাড়ানো দুরে থাক একটিবার খবরও নেয়নি । অথচ এই বদরুলদের আন্দোলন সংগ্রামে ব্যবহার করে ও লক্ষ.কোটি টাকা পদ বানিজ্য করে আজ দামী গাড়ী. নিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে উনারা । অভিযোগ বদরুলের সহযোগীদের।
বদরুল জানান ..জেলে বন্দী থাকাকালে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগর ছাত্রদলর সাংগঠনিক সম্পাদক রকিব এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মকসুদ আহমদ ছাড়া কেউ কোন সহযোগীতা করেনি ।
আক্ষেপ করে বদরুল এর অসহায় মা জানান টাকা অভাবে কিছু দিন আগে একমাত্র গাভী টি বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি । এই পর্যন্ত সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে চিকিৎসা বাবত । প্রতি মাসে বদরল এর চিকিৎসা ও ১০ মামলা শুধু হাজিরা খরচ আসে ৩০ হাজার টাকার উপরে ।
পরিবার স্বজন পরিজনের চোখে শর্ষে ফুল। এ দূর্যোগ উত্তরণে প্রয়োজন দলীয় নেতাকর্মীর সহযোগিতা।এ প্রসংগে জানতে চাইলে সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ প্রভাতবেলাকে বলেন, সাধ্যমত সবই করা হচ্ছে। মামলা থেকে জামিন, জেল থেকে মুক্তি এবং চিকিৎসায় আমি নিজে সহযোগিতা করছি। খন্দকার মুক্তাদির সহ দলের অনেকেই সহযোগিতা করছেন। আমরা তো কেউই ভাল অবস্থানে নেই।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ