শিবগঞ্জ উপজেলার চার খুনের আসামী আটক

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০১৮

প্রভাতবেলা সংবাদদাতাঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর চার খুনের আসামীদের আটক করেছে পুলিশ। শিবগঞ্জ উপজেলায় চারজনকে খুন করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছিলো। মাদকের ৬ হাজার টাকার ভাগবাটোয়ারা এই খুনের নেপথ্যের কারণ। টাকা দেওয়ার কথা বলে ওই চারজনকে ফোন করে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন গ্রেফতার হওয়া আসামিরা।
রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে চারজনকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। হত্যার সময় উপজেলার চন্দনপুর তালুকদারপাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে আবুল কালাম আজাদ পাহারাদারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আরেকজন একই উপজেলার কাঠগাড়া চকপাড়ার রফিকুল শেখের ছেলে জুয়েল শেখ সরাসরি চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে আরো ৬ জন প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন বলেও জানান গ্রেফতাররা। খুনের ঘটনায় জড়িত অপর ৬ জনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

সোমবার (১৪ মে) ও রোববার ভোর রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কাঠগাড়া, গণেশপুর ও কিচক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উপজেলার ডাবইর গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে মো. রুবেল, তালুকদারপাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে আবুল কালাম আজাদ এবং কাঠগাড়া চকপাড়ার রফিকুল শেখের ছেলে জুয়েল শেখকে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন  মায়ের জন্য ওষুধ কিনে ফেরা হল না তরুণীর

সোমবার দুপুরে জেলার পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়াদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এসব তথ্য তুলে ধরেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঞা।
তিনি বলেন, মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের কাঠগাড়া গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে পানের দোকানি শাবরুল ইসলাম সাবু ও একই গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে রং মিস্ত্রী জাকিরুল ইসলামকে প্রথমে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখে ফেলায় আরো দু’জন খুন করা হয় বলে জানান এসপি আলী আশরাফ ভূঞা। তারা হলেন- জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার নান্দাইল গ্রামের স্যাম্পুর ছেলে খবির ওরফে বাউশা ও পুনট গ্রামের আজাহার উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন।
মাদকের চালান নিয়ে এই দুজনও একই পথ দিয়ে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছিলেন বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ