কক্সবাজার সংবাদদাতাঃ কক্সবাজারের উখিয়ার কতুপালংয়ের ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মুসলিমদের দুদর্শা ও নির্যাতনের কথা শুনলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
সোমবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান তারা।
সৈকত পারের কলাতলীর তারকা হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট থেকে তাদের গাড়ি বহর বের হয় এবং মেরিন ড্রাইভ হয়ে সড়ক পথে উখিয়ার পথে রওয়ানা হন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসে এবং বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুটি সংস্থার দুই প্রধানকে পেয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র সঙ্গে কর্মরত রোহিঙ্গা আলী জোহার কথা বলেন, রোহিঙ্গারা বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে নাগরিকত্ব, স্বাধীনভাবে চলা-ফেরা ও কর্মের নিশ্চয়তাসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা মিয়ানমার ফিরতে চান না বলে জানিয়েছে’।
সকাল ১১টার দিকে তারা উখিয়ার রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত টিভি রিলে কেন্দ্র এলাকায় পৌঁছান।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্ট পরির্দশন শেষে কুতুপালংয়ের ডি ৪ ও ডি ৫ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন ও সরাসরি তাদের দুর্দশার কথা শোনেন জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট।
এরআগে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজার আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থার ত্রাণ কেন্দ্র, চিকিৎসা সেন্টার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ঘুরে দেখবে গুতেরেস ও জিম। এরপর বিকালে তারা ঢাকায় ফিরবেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট এমন এক সময়ে বাংলাদেশ সফর করছেন, যখন রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করলেও তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.