রোযা:সুদৃঢ় ভিত্তির উপর সুচরিত্র গঠনের উপকরণ

প্রকাশিত: ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মে ১১, ২০১৯

রোযা:সুদৃঢ় ভিত্তির উপর সুচরিত্র গঠনের উপকরণ

(৪) রোযা হলো একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর সুচরিত্র গঠনের উপকরণ:
এটা কি করে হতে পারে যে, রোযাদার তার প্রতিপালকের নিকট সত্যবাদিতার পরিচয় দেবে, অথচ মানুষের সঙ্গে মিথ্যা বলবে?
নিজের রোযায় আন্তরিকতা রাখবে, অথচ নিজ সমাজের সঙ্গে ধোকাবাজি ও কপটতা প্রদর্শণ করবে?
ইখলাস ও আন্তরিকতা একটি সামগ্রিক বস্তু যা ভাগাভাগি হয় না। যার সর্বোচ্চ পর্যায় ও সারাংশ হলো, সৃষ্টিকর্তা অন্তর্যামি আল্লাহর সাথে আন্তরিকতা ও বিশুদ্ধচিত্ততা।
সুতরাং যে ব্যক্তির আল্লাহর সাথে আন্তরিকতা থাকবে, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে অসম্ভব যে,
সে মানুষকে ধোকা দেবে,
আমানতে খেয়ানত করবে,
অপরকে ঠকিয়ে খাবে,
চুরি করবে,
জুলুম করবে, অথবা অপরকে কষ্ট দেবে।
পক্ষান্তরে কারো চক্রান্তে পড়ে বা ভুলক্রমে এ ধরণের কোন পাপ করেই বসে, তাহলে সাথে সাথে সুপথে ফিরে আসে, আল্লাহর নিকট তওবা করে, অনুতপ্ত হয়, লজ্জিত হয় সীমাহীন।
সুতরাং, রোযা হলো একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর সুচরিত্র গঠনের উপকরণ এবং তা সমৃদ্ধকরণের জন্য আভ্যন্তরীণ এক মৌলিক উপাদান।
(৫) রোযা রোযাদারকে কুঅভ্যাসের দাসত্ব থেকে মুক্তি দান করে:
এমন বহু মানুষ আছেন, যারা এমন বহু নোংরা অভ্যাসে অভ্যাসি হয়ে পড়ে, এবং তার ফাঁদ থেকে বের হওয়ার কোন পথ খুঁজে পায় না। কিন্তু রোযা এলে তাদেরকে দেখা যায় যে, তারা তাদের সে সমস্ত কুঅভ্যাসকে পরিপূর্ণরুপে বর্জন করে ফেলেছে।
(৬) রোযা পরিপূর্ণরুপে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ এবং তার পূর্ণ দাসত্ব করার শিক্ষা দেয়।
(৭) রোযা হলো গোনাহের কাফফারা। কারণ নেকীর কাজ গোনাহ নাশ করে দেয়। আর রোযা বড় নেকীর কাজ।
মহান আল্লাহ বলে, ‘ নিশ্চয় পূণ্যরাশি পাপরাশিকে দূরীভূত করে’ ( আল কুরআন ১১/১১৪)
(৮) রোযা রোযাদারদের মনে ধৈর্য্য ও সহনশীলতা সৃষ্টি করে।
(৯) রোযা রোযাদারদের জন্য ইহ ও পরকালের সুখের কারণ। মহানবী (সা) বলেন, রোযাদারদের জন্য রয়েছে ২টি খুশী, প্রথমটি হলো ইফতার করার সময় আর দ্বিতীয় খুশী হলো তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতের সময়।( বুখারী-১০৮৫)
(১০) রোযা রোযাদারের ঈমান বৃদ্ধি করে। রোযা ঐক্য, ব্রাতৃত্ব, সংহতি, সাম্য ও সম্প্রীতির প্রতিক।
রোযার উদ্যেশ্য ও উপকারিতা প্রসংগ বিশাল ও ব্যাপক। আমার পর্যালোচনা ও পাঠজ্ঞানে চুম্বক বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হলো। অতি প্রয়োজন ছাড়া সব বিষয়ের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ তুলে ধরা সম্ভব হয়নি পরিসর ছোট রাখার স্বার্থে। নিজ যোগ্যতা ও সাধ্যানুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকের অধ্যয়ন করা উচিত। মহান মা’বুদ আমাদেরকে যথাযোগ্যভাবে রোযা পালনের তৌফিক দিন। আমিন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ