সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
প্রভাতবেলা প্রতিবেদক:
‘এক স্থাপত্যে সব মা’ প্রতিপাদ্যে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে লিডিং ইউনিভার্সিটি। নবনির্মিত এ শহীদ মিনার দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শহীদ মিনারটির উচ্চতা ৩৮ ফুট, চওড়া ৬০ ফুট। মূল অংশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে। ঠিক মধ্যভাগে ‘মা’ শব্দটি বড় করে বাংলায় লেখা। তারপর থরে থরে আরও মা লেখা। তবে সেগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ভাষার নানা বর্ণে। বাংলা ভাষা, জনজাতি ও আঞ্চলিক উচ্চারণে মা ডাকও আছে। সেই সঙ্গে ইংরেজি থেকে শুরু করে বিশ্বের ৫৪টি ভাষায় ‘মা’ শব্দ শহীদ মিনারে বসিয়ে ‘মা’ ও ‘মাতৃভাষাকে’ সবার উপরে রেখে মায়ের ভাষাকে সম্মান প্রদর্শন এ স্থাপত্যকর্ম শহীদ মিনারের লক্ষ্য। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভাষায় লেখা মায়ের নাম। যেন এক স্থাপত্যে সব মা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় কামালবাজারস্থ লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দৃষ্টিনন্দন লিডিং ইউনিভার্সিটির নবনির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেছেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির শহীদ মিনার দেখে আমি মুগ্ধ। আমি মনে করি এর নকশাকারক বিশ্বের ৫৪টি ভাষায় ‘মা’ শব্দটির সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের প্রসারিত করেছেন। এজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। মায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে এর মূল নকশা তৈরির বিষয়টি অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে।
সকল মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাসের নকশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ শতক জায়গায় এই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় কামালবাজারস্থ লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে নবনির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, মা কথাটি অনেক মধুর। আর মায়ের ভাষা সব সময় সম্মানিত। সেটা যেকোনো দেশের ভাষায় হোক। আমাদের মাতৃভাষাকে আমরা যেমন সম্মান করি তেমনই অন্য দেশের ভাষাকেও সম্মান করা উচিৎ। আর এই শহীদমিনারে সেটাই হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আমরা বিচ্ছিন্ন ছিলাম। কারণ আমরা উপনিবেশ শাসনে আবদ্ধ ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা মুক্ত, তাই আমরা সময়ে সময়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলাচ্ছি।
এ সময় এম এ মান্নান তার ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ফাল্গুন মাস, দক্ষিণা বাতাস আর সামনে তারুণ্যের সমাগম, সব মিলিয়ে আজকের সকালটি আমার কাছে অন্যরকম ভালো লাগার একটি সকাল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে। কারণ শিক্ষার্থীদের কেবল পড়ালেখা করলেই চলবে না। তাদেরকে পরিবেশ-প্রকৃতি এসব কিছুর দ্বারস্থ হতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী সকলকে মানবজাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিক্ষার্থী আছো তোমাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে তোমরা যেন মানব জাতির কল্যাণে কাজ করো। কারণ মানবজাতির জন্য কাজ করার মানুষ তৈরি করার প্রধান কারিগর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিকাশ হয়, অন্তর আত্মা মুক্তি পায়।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাগীব আলীর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রভাতবেলা/এমএ
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি