সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২০
ফারুক আহমদ চৌধুরী:
সিলেট এখন করোনার ডেঞ্জার জোনে । ঈদের এক সাপ্তাহ শেষ হতে না হতেই সিলেটবাসী এক ‘ভয়ঙ্কর সময়’ পাড়ি দিচ্ছেন । প্রতিদিনই সিলেট জেলায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। বাদ যাচ্ছেন না নারী ও শিশু থেকে শুরু করে চাকরিজীবি, চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, জননেতা ও দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি এবং পেশার কেউ ।
নগরীর রাস্তায় দিনভর লেগে আছে যানজট, কেউ-ই মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি, তাহলে আমরা কোন দিকে যাচ্ছি। হাট-বাজার গুলোতে উপচে পড়া ভিড়, যানবাহনে নেই নিরাপত্তার বালাই।
পরিসংখ্যান সূত্র জানায়, সিলেট জেলায় গত ২৮ মে ৩৯ জন, ২৯ মে ৪৫ জন, ৩০ মে ৩১ জন, ৩১ মে ৭৩ জন, ১ জুন ২১ জন, ২ জুন ৪৬, ৩ জুন ২৫ জন এবং আজ ৪ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৭ দিনে সিলেট জেলায় গড়ে ৪৭ জনের অধিক মানুষ প্রাণনাশী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়াও গত ৭ দিনে সিলেট জেলায় করোনা মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। গত ২৮ মে পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিলো ১১। তারপরে ২৯ মে ১ জন, ৩০ মে ১ জন, ১ জুন ১ জন, ২ জুন ৩ জন, ৩ জুন ১ জন এবং আজ ৪ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২ জন। এ হিসেবে গড়ে প্রতিদিন সিলেটে একজনের অধিক মানুষ মারা যাচ্ছেন করোনা ভাইরাসে।
এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বর্তমানে সিলেটকে ইয়লো জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।কিন্তু সিলেটে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কয়েকদিন পর রেড জোন হবে সিলেট।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে চলছে জন সমাগম। পাড়া মহল্লায় আড্ডাবাজি চলছে। এভাবে চলতে থাকলে শাহজালাল – শাহপররানের পুন্যভুমি আধ্যাত্বিক নগরী সিলেট লাশের স্তুপে পরিনত হবে বলে সচেতন মহল দাবী করছেন।
প্রভাতবেলা/এমএ
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি