আহলান সাহলান মাহে রামাদ্বান

প্রকাশিত: ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ, মে ৬, ২০১৯

আহলান সাহলান মাহে রামাদ্বান

কাল বাদ পরশু থেকেই রোযা। সবার মুখেই এখন এই কথা। যার যার সাধ্য, চাহিদা আর ইচ্ছেমত প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসলে ‘রোযা’ ‘রামাদ্বান’ বা ‘সিয়াম’ সম্পর্কে আমাদের এ অঞ্চলের মুসলমানরা মোটামোটি ওয়াকিবহাল। ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মীয় অনুশাসন পালনে ওচর্চায় আমরা মোটামোটি অভ্যস্ত, অবগত। সহজ কথায় জানি এবং বুঝি।
তারপরও রমজান মাসকে আমরা একটা সার্ভিসিং পিরিয়ড ধরতে পারি। আমাদের ব্যবহৃত পরিবহন (গাড়ী,মোটরসাইকেল) মাঝে মধ্যে আমরা সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে যাই। মেকানিকেল ত্রুটিগুলো ঠিক করিয়ে নেই। সাথে কিছু টেকনিকেল প্রবলেম সল্ভ করিয়ে নেই। আবার কোন দরকার নয় তবুও কোন জিনিষ পাল্টিয়ে নতুন করে লাগিয়ে নেই।
আপনার আমার দেহ মন আত্মাকে যদি এমনি রকম কোন যানের বা পরিবহনের মত কিছু সময়ের জন্য ধরে নেই। আর রামজান মাসকে সার্ভিসিং সেন্টার বা পিরিয়ড হিসেবে মনে করি। তাহলে আমাদের আত্মিক দৈহিক মানসিক ত্রুটি বিচ্যুতি শুধরে তো নিতে হবে এখনই। আর প্রয়োজন না হলেও জানা বিষয়গুলো আরেকবার জালিয়ে নেই নতুন করে। তাতে ক্ষতি নেই।
শুরু করছিলাম কাল বাদ পরশু ‘রোযা’। আসলে ‘রোযা’ কী।
রোযা বা রোজা , ফার্সি শব্দ روزہ রুজ়ে যার আরবী, সাউম صوم , বা সিয়াম।
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ فرض যার অর্থ অবশ্য পালনীয়।
এই সহজ কথাগুলো আমাদের প্রায় সবার জানা। ‘সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা’- এই বাক্যটি নিয়ে প্রত্যেক মুসলমানকে নিজ চিন্তা অনুযায়ী ভাববার অনুরোধ করবো। আমরা কি যাবতীয় ভোগ বিলাস থেকে বিরত থাকি? থাকছি? থাকতে পারছি? তবে এবার থাকবো। এই হোক প্রতিজ্ঞা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ