সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ কোরআনুল কারিমে একটি সুরাই নাজিল করেছেন। সুরাটিতে জুমার দিনের ইবাদত সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
আল্লাহ তাআলা প্রতি সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্যে এই দিন রেখেছিলেন। কিন্তু আগের নবি-রাসুলদের উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়। ইহুদিরা ‘ইয়াওমুস সাবত’ তথা শনিবারকে নিজেদের সমাবেশের দিন নির্ধারিত করে নেয় এবং নাসারারা রোববারকে। আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমাহকে তাওফিক দিয়েছেন যে, তারা শুক্রবারকে মনোনীত করেছে। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে-
১. নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমরা সবশেষে এসেও কেয়ামতের দিন সবার অগ্রগামী হবো। আমরাই প্রথম জান্নাতে প্ৰবেশ করবো। যদিও তাদেরকে আমাদের আগে কিতাব দেওয়া হয়েছিল, আর আমাদের কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদের পরে। কিন্তু তারা এতে মতভেদে লিপ্ত হয়েছে। এরপর আল্লাহ আমাদেরকে তাদের মতভেদপূর্ণ বিষয়ে সঠিক পথ দিয়েছেন। এই যে দিনটি, তারা এতে মতভেদ করেছে। এরপর আল্লাহ আমাদেরকে এ দিনের সঠিক হেদায়াত দান করেছেন। তাহলো- জুমার দিন। সুতরাং আজ আমাদের, কাল ইহুদিদের। আর পরশু নাসারাদের।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আরবে কাব ইবনে লুয়াই সর্বপ্রথম এর নাম ‘ইয়াওমুল ‘জুমুআ’ রাখেন। কারণ, জুমা শব্দটির অর্থ একত্রিত করা। এই দিনে কুরাইশদের সমাবেশ হতো এবং কাব ইবনে লুয়াই ভাষণ দিতেন।
২. কিন্তু বিশুদ্ধ হাদিসের বর্ণনা মতে, ‘আদম আলাইহিস সালামের সৃষ্টিকে এই দিন একত্রিত করা হয়েছিল বলেই এই দিনকে জুমা নামকরণ করা হয়েছে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম, ইবনে খুযাইমা, তাবারানি)
জুমার দিন নামাজের জন্য আজান ও খুতবার আজান দেওয়াকে বুঝানো হয়েছে। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ, আবু বকর এবং ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমার যুগে জুমারর দিনে ইমাম যখন মিম্বরে বসতো তখন প্রথম আজান দেওয়া হতো। এরপর যখন ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর যুগ আসলো এবং মানুষ বেড়ে গেল তখন দ্বিতীয় আহবানটি তিনি বাড়িয়ে দেন।’ (বুখারি)
আয়াতে فَاسْعَوْا শব্দের অর্থ হলো- দৌড়ানো এবং অপর অর্থ কোনো কাজ গুরুত্ব সহকারে করা। এখানে এই অর্থ উদ্দেশ্য। কারণ, নামাজের জন্যে দৌড়ে আসতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রশান্তি ও গাম্ভীৰ্য সহকারে নামাজের জন্যে গমন কর।’ (বুখারি, মুসলিম)
এখানে ‘জিকির’ বলে জুমার নামাজ এবং এই নামাজের অন্যতম শর্ত খুতবাও বোঝানো হয়েছে। হাদিসে জুমার দিনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদে হাজির হওয়ার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
এ সময়টি অনেকের কাছে দোয়া কবুল হওয়ার সময় হিসেবে বিবেচিত। হাদিসে এসেছে-
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে কোনো মুসলিম যদি সে সময়ে আল্লাহর কাছে কোনো কল্যাণ চায় তবে অবশ্যই তিনি তাকে সেটা দিবেন।’ (বুখারি)
পরের আয়াতে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
فَاِذَا قُضِیَتِ الصَّلٰوۃُ فَانۡتَشِرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ وَ ابۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِ اللّٰهِ وَ اذۡکُرُوا اللّٰهَ کَثِیۡرًا لَّعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
‘এরপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিকরূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমুআ : আয়াত ১০)
প্রতি সপ্তাহে জুমার জামাত আমাদের কেয়ামতের জমায়েতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কেয়ামতের সময় আমাদের জমায়েত হতেই হবে। এই সাপ্তাহিক জমায়েত হাশরের জমায়েতেরই একটা মহড়া।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি