জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমঝোতা চুক্তি

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমঝোতা চুক্তি

প্রভাতবেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং নতুন সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক সভায় দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা এই আহ্বান জানান।

ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। সভায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে এফবিসিসিআই ও এফপিসিসিআই একটি ‘জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল’ গঠনের জন্য সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে।

সভায় ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাণিজ্য উইং) নাজনীন কাওসার চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী (খোকন), এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীরসহ দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন  সিএসইতেও করোনা আতঙ্ক

এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিগত বছরগুলোয় দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি থাকলেও কৃষি, বস্ত্র, ওষুধ, আইসিটি প্রভৃতি সম্ভাবনাময় খাত এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাণিজ্য বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

হাফিজুর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) কাজে লাগিয়ে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করা উচিত। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্বালানি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণা এবং উদ্ভাবন খাতে উভয় দেশের নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

এফবিসিসিআই ও এফপিসিসিআই যৌথভাবে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, ব্যবসায়িক আলোচনা (বিটুবি মিটিং) এবং ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি ট্রেড ফেয়ার’ আয়োজন করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এফপিসিসিআইয়ের সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কৃষি, ওষুধ, চামড়া, মেশিনারি, কেমিক্যাল ও আইসিটি খাতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক যোগাযোগের সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। তিনি আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, অবকাঠামো, বন্দর ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য।

আরও পড়ুন  গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে ১০ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

এফপিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাকিব ফায়াজ মাগুন বলেন, কৃষি খাতে যৌথ উদ্যোগ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বিপ্লব আনা সম্ভব।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ