সিলেট ১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
দীর্ঘ সময় ধরে আপিলসহ ডেথ রেফারেন্স (আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা।
এদিকে সন্তান হত্যার বিচার দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে মারা গেছেন নিহত সিরাজুল ইসলামের বাবা মনির হোসেন। জামাতা হারানোর শোক নিয়ে পৃথিবী ছেড়েছেন কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।
নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নুপুর বেগম বলেন, ‘দশ বছর ধরে বিচারের আশায় বুক বেঁধে আছি। কিন্তু বিচার তো পাচ্ছি না। বিচার চাইতে চাইতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’
নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘প্রথমদিকে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মামলার রায় দ্রুতই হয়েছিল। এখন মামলার কোনো অগ্রগতি দেখছি না। আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। আমরা এ মামলার বিচার পাব কি না তাও জানি না। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এখনও ঝুলে আছে। বিচার বিভাগের কাছে দাবি দেশব্যাপী আলোচিত এ সাত খুন মামলাটি যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, ‘নিম্ন আদালত এ মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক সম্পন্ন করে বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। আশা করছি নিম্ন আদালতের এ রায় উচ্চ আদালতে বহাল থাকবে।’
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে- এমন প্রত্যাশা করেন তিনি। রাষ্ট্রের কাছে তিনি দাবি জানান, এ মামলাটির দ্রুত শুনানি এবং নিষ্পত্তি করে রায়টি দ্রুত কার্যকর করার।
অপহরণের ৩ দিন পর ৩০ এপ্রিল নজরুল ইসলাম ও চন্দন সরকারসহ ৬ জন এবং ১ মে সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশ একে একে ভেসে ওঠে শীতলক্ষ্যা নদীর শান্তিরচর এলাকায়।
এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৫ আসামিই র্যাব সদস্য। পরে আসামি পক্ষের লোকজন উচ্চ আদালতে রায়ের বিপক্ষে আপিল করলে উচ্চ আদালত ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট কাউন্সিলর নুর হোসেন ও বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন হয়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১১ আসামি হলেন, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সার্জেন্ট এনামুল কবির, নূর হোসেনের সহযোগী আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান, রহম আলী, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান, সেলিম, সানাউল্লাহ, শাহজাহান ও জামালউদ্দিন।
এ ছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিও র্যাবের বরখাস্ত কর্মকর্তা ও সদস্য। তাদের মধ্যে কনস্টেবল (পরে এএসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে নৌ থানায় কর্মরত) হাবিবুর রহমানের ১৭ বছর, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, করপোরাল মোখলেসুর রহমান, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন ও সিপাহি নুরুজ্জামানের ১০ বছর করে এবং এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিন সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ উচ্চ আদালতে বহাল রয়েছে। তাদের মধ্যে মোখলেসুর রহমান ও কামাল হোসেন পলাতক।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি