পাহাড়ে বেগুন চাষে সফল আব্দুল হাই

প্রকাশিত: ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২৪

পাহাড়ে বেগুন চাষে সফল আব্দুল হাই
প্রভাতবেলা ডেস্ক: সমতল ভূমি থেকে প্রায় ১৫০ ফুট পাহাড়ের উপরে দেশি সবুজ গোল বেগুন চাষে সফলতার মুখ দেখছেন মাটিরাঙ্গার খেদাছড়া এলাকার সফল কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল হাই। কিশোর বয়স থেকে কৃষিকে পেশা ও নেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম আর পরিকল্পিত সবজি চাষে অর্থনৈতিক মুক্তি মিলেছে তার। চার সন্তান নিয়ে বেশ ভালোই চলছে আব্দুল হাই’র সংসার। বড় ছেলে নৌবাহিনীতে চাকরি করেন। ছোট ছেলে ৯ম শ্রেণিতে ও মেয়েদের পাত্রস্থ করেছেন অনেক আগেই।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে অনেকটা কীটনাশকমুক্ত চাষ পদ্ধতি ব্যবহার পূর্বক মাটিরাঙ্গা-তানাক্কা পাড়া সড়কের অদূরে পাহাড়ের ওপরে ২ একর জমিতে ৩ হাজার বেগুনের চারা রোপণ করেন তিনি। এ জমিতে তিনি পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার মোড়ানো পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এতে মাটির প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা ঠিক থাকার পাশাপাশি আগাছা দমন, সারের সঠিক প্রয়োগ এবং পোকামাড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায় ও সেচ খরচ কম লাগে। জমিটি পাহাড়ের ওপরে হওয়ায় পাহাড়ের নিচ থেকে পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা করেন তিনি।

আরও পড়ুন  ‘সমাজে কী হচ্ছে, তা আমাদের টাচ করে’

মধ্য এপ্রিল থেকে চারা রোপণ করে দুই মাসের মধ্যে হারভেস্ট শুরু করেন। এটি চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখ টাকার বেগুন বিক্রি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ছয় লাখে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে এ জমিতে স্থায়ী আলোক ফাঁদ তৈরি করে পোকা দমন করা হয়।

কৃষক আব্দুল হাই বলেন, আমি বেগুন ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার রাখি। সে কারণে পোকার আক্রমণ কম হয়। এতে একদিকে বিষমুক্ত বেগুন বিক্রি করার পাশাপাশি কীটনাশক ক্রয়ের খরচ থেকেও মুক্তি পাচ্ছি। তবে, গত বছরের ন্যায় এ বছর ফলন কম হলেও দাম বেশি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আব্দুল হাই একজন দক্ষ ও সফল কৃষক। তার নিজস্ব জমিতে বারবার বেগুন চাষ করে সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকে বেগুন চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন করলে একদিকে অর্থনৈতিক সফলতা অপরদিকে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন  সংস্কার দাবিতে সড়কে ধানের চারা রোপণ

মাটিরাঙ্গা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী বলেন, কৃষক আব্দুল হাই বেগুন চাষ করে লাভবান হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে সার-বীজসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে বিষমুক্ত স্বাস্থ্যবান্ধব সবজি চাষে উদ্ধুদ্ধ করতে উপজেলা কৃষি অফিস কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ