বন্যার্তদের পাশে দেশবাসী : স্বকীয়তা সম্প্রীতির সমুজ্জল দৃষ্টান্ত

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২৪

বন্যার্তদের পাশে দেশবাসী : স্বকীয়তা সম্প্রীতির সমুজ্জল দৃষ্টান্ত
ভারতীয় পানি আগ্রাসনে ভাসছে দেশ। বহু জীবনের প্রাণহানী আর সম্পদের ক্ষতি সাধিত হয়েছে ইতোমধ্যে। যা সত্যিকার অর্থে অপূরণীয়। গবাদি পশু বৃক্ষ তরুলতার ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়ে চট্রগ্রাম নোয়াখালি ফেনী কুমিল্লার বহু জনপদ।

কোন সতর্কবার্তা ছাড়াই ভারত সীমান্তের ‘ডুম্বুর বাঁধ’ খুলে দেয়। পানির প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে নোয়াখালি ফেনী কুমিল্লার অযুত ঘরবাড়ী। জনপদ জুড়ে বনি আদমের আহাজারি। ভারত আন্তর্জাতিক পানিশাসন নীতির কোন তোয়াক্কা না করেই বাংলাদেশের সাথে ১৯৭১ সালের পর থেকে এমন আচরণ করে আসছে।
এবারের এই বাঁধ ছেড়ে দেওয়ার পেছনে ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পরাজিত শক্তি ইন্ধন রয়েছে বলে অনেবেই মনে করছেন। হাসিনার পতন মোদি সরকার ভালভাবে মেনে নিতে পারেনি। তাই বাংলাদেশের মানুষকে দুর্যোগে দুর্বিপাকে রাখার হীন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে তারা। আমরা এ অবস্থার উত্তোরণ চাই। আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আহবান জানাই নতুন সরকারের প্রতি। একই সাথে আমরা মনে করি বাংলাদেশ সীমানায় আমাদেরও বাঁধ নির্মাণের সময় এসেছে। এ উদ্যোগ এই সরকারকেই নেয়া দরকার।

আরও পড়ুন  এক দাম্ভিক প্রেসিডেন্টের ঐতিহাসিক পতন!

সবচেয়ে আশার কথা, বাংলাদেশকে অস্থির করে তোলার যে হীন মানসিকতায় ভারত বাঁধ খুলে দিয়েছিল। বাংলাদেশের চিত্র ঠিক উল্টো। কঠিন দুর্যোগে বাংলাদেশে সম্প্রীতির সুদৃঢ় বন্ধনে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। তরুণ থেকে বৃদ্ধ আবালবণিতা বন্যার্তদের পাশে। হিন্দু সম্প্রদায় পুজোর খরচ কমিয়ে বন্যার্তদের সাহায্য করছে। স্কুল ছাত্র টিফিনের টাকা বাচিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে। দল মত ধর্ম জাতি বয়স নির্বিশেষে মানুষ মানুষের জন্য ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ জিতবেই।

সাম্প্রদায়িকতার যে জুজুর ভয় দেখায় ভারত তা-ও ভেস্তে গেছে এই বন্যায়। এখানে কে হিন্দু কে মুসলিম তা কেউ দেখছেনা। যেখানেই মানুষ আক্রান্ত সেখানেই চলছে সাহায্য সহযোগিতা।

দু:শাসনের যাঁতাকল থেকে মুক্ত বাংলাদেশ সোনালী দিগন্তে পৌঁছবে। এ আমাদের বিশ্বাস।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ