বায়তুল আমান সাবাহি মক্তব : দ্বীনি শিক্ষায় নতুন প্রয়াস

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩

বায়তুল আমান সাবাহি মক্তব : দ্বীনি শিক্ষায় নতুন প্রয়াস

প্রভাতবেলা প্রতিবেদক: এক সময় মক্তব ছিল আমাদের আবহমান বাংলার মুসলিম ঐতিহ্যের এক অভিচ্ছেদ্য অংশ। সকালবেলা কোমলমতী শিশুরা কুরআনের শিক্ষা অর্জন করতে দল বেঁধে মক্তবে যেতো। কিন্তু বর্তমানে সকালবেলার স্কুল এবং নানামুখী কারণে ঐতিহ্যে প্রতীক গুরুত্ব হারাচ্ছে। তাই এই ঐতিহ্যবাহী ধারাকে নতুনভাবে ফিরিয়ে আনতে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ইউপি ও লক্ষণাবন্দ ইউপির মধ্যবর্তী নিশ্চিন্ত গ্রামের বায়তুল আমান হুসাইন মসজিদে চলছে সকালের মক্তব। প্রতিদিন বাদ ফজর থেকে এই মক্তবে পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা। যেখানে হিফজ থেকে শুরু করে দ্বীনের বুনিয়াদী শিক্ষা গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ৭/৮ জন শিক্ষার্থী দিয়ে শুরু হয় বায়তুল আমান সাবাহি মক্তব নামে সকালের মক্তব। বর্তমানে প্রায় ৮০ জনের মতো শিক্ষার্থী এখান থেকে কুরআন ও দ্বীনের শিক্ষা নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয় নিজস্ব সিলেবাস। যুবানী, কায়দা, আমপারা, নাযারা বিভাগ অনুসারে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়।
মক্তব কর্তৃপক্ষ জানান এখানে নির্বাচিত সূরা আয়াত মুখস্থ ইত্যাদি ভাগে শিক্ষার্থীরা কুরআনের শিক্ষা গ্রহণ করছে। ২০২১-২০২৩ সাল পর্যন্ত কুরআন শরীফ পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে করেছে ৪০ জন শিক্ষার্থী। এখানে কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি শেখানো হয় মৌলিক আক্বীদা, নামাজ-রোজাসহ ফরজ ইবাদতের বিধান সমূহ, মাসনূন দো’আ সমূহ, প্রশ্নোত্তরে ইসলামের ইতিহাস ইত্যাদি।

আরও পড়ুন  সুনামগঞ্জের কিশোরীকে ভৈরবে গণধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার

এই মক্তব কার্যক্রমের তিনটি ধাপ। (১) সাবাহি মক্তব : যুবানী, ক্বায়দা, সুরা ও নাযারা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই ধাপে পড়ে। এখানে ক্বায়দা ও কুরআনের পাশাপাশি দ্বীনের বুনিয়াদী বিষয়গুলি পড়ানো হয়। (২) মাশকুল কুরআন : কুরআন শরীফের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ে। যারা মক্তব শেষ করতে পারে, তাদেরকেই মূলতঃ এখানে সুযোগ দেওয়া হয়। (৩) মাসব্যাপী ক্বেরাত কোর্স : এটি রামাযান মাসভিত্তিক সব ধরণের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য। এখানে ক্বায়দা ও কুরআনের পাশাপাশি দ্বীনের বুনিয়াদী বিষয়গুলি পড়ানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নোমান মাহফুজ বলেন, নিজস্ব সিলেবাসে এখানে পড়ানো হয়। মক্তবের প্রতি অভিভাবকদের আগ্রহ বাড়ছে। বাদ ফজর মাত্র এক-দেড় ঘণ্টা নিয়মিত পড়ে তাদের সন্তানরা দ্বীনের মৌলিক বিষয়গুলি জানতে পারবে, এতেই তাদের ভরসা। যদি মসজিদে মসজিদে এই মক্তব চালু করা যেত, তাহলে প্রসারটা আরও অধিক হতো। চাইলেই ইসলামিক স্কুল বা মাদরাসা তৈরি করা সম্ভব হয় না কিন্তু সকালের মক্তব চালু করা অনেকটাই সহজ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ