সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ১:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৩
সরেজমিনে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ষাইটশালা এলাকার কুমার পাড়ায় গিয়ে কথা হয় মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারের সদস্য রবীন্দ্র রুদ্র পালের স্ত্রী অঞ্জনা রানী পালের সাথে।
তিনি জানান, প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসপত্র বাজারে আসার পর থেকেই মাটি দিয়ে তৈরি পণ্যে ভাটা পড়া শুরু হয়েছে। এই কাজ করে এখন আর সংসার চলে না তাদের। বর্তমানে একটি পাতিল তৈরি করতে যে টাকা খরচ হয় সে টাকা অনেক সময় বিক্রিও করতে পারেন না তারা। এসব পণ্য তারা পাইকারি বিক্রি করেন ২০ টাকা করে। দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০টি পাতিল তৈরি করতে পারেন একজন শ্রমিক। আর এই আয়ে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয় তাদের। বাপ-দাদার পেশা, মায়ার কারণে ধরে রেখেছেন, আয় বলতে তেমন কিছু নেই, পাশাপাশি অন্য কিছু করে সংসার চালাতে হচ্ছে তাদের। তাদের ছেলে মেয়েরা এই কাজ করতে আগ্রহী না। তারাও চান না ছেলে মেয়েরা এই পেশায় আসুক।
বাঙালির চিরচেনা ঐতিহ্য মৃৎশিল্পে ভাটার পেছনের গল্প জানান মৃৎশিল্পী কমল চন্দ্র পাল, নিরঞ্জন রুদ্র পাল, বিনোদ রুদ্র পাল ও সুমা রাণী পাল।
তারা জানান, এই পল্লীতে কোনো একসময় মৃৎশিল্পের কাজে নিয়োজিত ছিল ৪০০ পরিবার। সময়ের পরিক্রমা ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেকেই এ পেশা থেকে ভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন। এক সময় মৃৎশিল্পপল্লীর শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করতেন, হিমশিম খেতেন পাইকারদের চাহিদা মেটাতে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও শিশুদের খেলনা, গৃহের শৌখিন পণ্যসহ বাহারি পণ্য থাকত কুমারপাড়া এলাকায়। এসব পণ্যে থাকত দৃষ্টিনন্দন আলপনার ছোঁয়াও। কিন্তু আজ এসবই হারিয়ে যাচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়। তবে সময়ের পরিক্রমায় মৃৎশিল্পের অস্তিত্ব সংকটে পড়লেও ৪০টি পরিবার এখনও এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত থেকে বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন পরিবারগুলো।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি