সিলেট ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৩
এ কর্মসূচি দিয়েই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এজন্য নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের মহাযাত্রা শুরু হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যা চলমান থাকবে। শান্তিপূর্ণ কিন্তু ব্যাপক জনসমর্থনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের সব রকম কলাকৌশল আর প্রস্তুতি নিতে দলের সর্বস্তরেই নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকমান্ড।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিসা নীতি ঘোষণার পর কিছুদিন নমনীয় ছিল সরকার। কিন্তু এবার ক্ষমতায় থাকতে মরণকামড় দিতে শুরু করেছে তারা। গত মঙ্গলবার থেকে সরকার আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে শুরু করেছে। কোনো কারণ ছাড়াই তাদের তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একতরফা নির্বাচন করতে বিএনপি নেতাদের মামলা অত্যধিক দ্রুততার সঙ্গে রায় ঘোষণার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কিন্তু সরকার যতই চেষ্টা করুক, এবার আর আগের দুটি নির্বাচনের মতো ওয়াকওভার দেওয়া হবে না। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে বাধ্য করা এখন তাদের টার্গেট।
সূত্র জানায়, মহাসমাবেশের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের বার্তা দেবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। সরকারের দিক থেকে কোনো সমঝোতার উদ্যোগ না নিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তপশিলের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। মহাসমাবেশ থেকেই আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেখানে রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা– বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন কিংবা সচিবালয় ঘেরাও ও ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি আসতে পারে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সবশেষে হরতাল, অবরোধ ও ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা চলছে। ঘোষিত সব কমসূচিই হবে শান্তিপূর্ণ। তবে বাধা দেওয়া হলে প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ গড়ে তোলার মানসিকতাও থাকবে দলটির। বিএনপি নেতারা জানান, আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও সারাদেশে একযোগে আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলনে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হতে পারেন, অনেকে আহত হতে পারেন, সে বিষয়কে সামনে রেখে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নেতৃত্বের জন্য কয়েকটি ধাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। যাতে একজনের অনুপস্থিতিতে তাৎক্ষণিক আরেকজন সামনে আসতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, মহাসমাবেশে লোকসমাগম ঘটাতে প্রায় প্রতিদিন প্রস্তুতি সভা, মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবারও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, যুগ্ম মহাসচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন। পৃথকভাবে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় চলছে। একই সঙ্গে দলের অঙ্গসংগঠনের নেতারাও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
এদিকে সমমনার বাইরে থাকা অন্য দলগুলোকেও আন্দোলনের মাঠে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ রাখছেন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। সরকার পতনের আন্দোলনকে আরও ত্বরান্বিত করতে তাদের সাংগঠনিক শক্তিকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন দলের হাইকমান্ড। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ছাত্র ও যুব সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির প্রতিনিধি দল হিসেবে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল উপস্থিত ছিলেন। ছাত্র ঐক্যের সঙ্গেও এই দলের ছাত্র সংগঠনকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য এই ছাত্র জোটকে আরও সক্রিয় করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ছাত্র সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, যদিও দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি