মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকাসহ অপহৃত শিশু উদ্ধার!

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৪

মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকাসহ অপহৃত শিশু উদ্ধার!
প্রভাতবেলা ডেস্ক: কক্সবাজার টেকনাফে চাঞ্চল্যকর অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে টেকনাফ থানা পুলিশ। এসময় অপহরণ চক্রের মুল হুতা মাস্টার মাইন্ড আনোয়ার সাদেকসহ এ পর্যন্ত মোট ১৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকা, অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজি ও ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ১১ ঘটিকায় টেকনাফ মডেল থানার কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ‍্যমে এসব তথ‍্য নিশ্চিত করেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া টেকনাফ) সার্কেল রাসেল এবং টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি।

সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৯ মার্চ সকাল ১১.৪৫ ঘটিকায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পানখালী এলাকা হতে মাদ্রাসা আবু হুরায়রার ১ম শ্রেণীর ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা অপহরণ করে। শিশু অপহরণের সংবাদ পাওয়া মাত্রই কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল রাসেল পিপিএম-সেবা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ টেকনাফ মডেল থানার নেতৃত্বে অপহৃত শিশুটি উদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক কার্যকরী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভিকটিম উদ্ধারের অভিযান পরিচালনাকালে জানা যায় শিশু অপহরণের মাস্টারমাইন্ড আনোয়ার সাদেক এর পরিকল্পনায় বাদীনির ভাড়াটিয়া পুরাতন রোহিঙ্গা নাছের এবং মাজুমার নেতৃত্বে উম্মে সালমা, শাহীন এবং সিএনজি ড্রাইভার নাসির আলম মাদ্রাসা হতে বাসায় যাওয়ার পথে শিশুটিকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অতপর কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে সিএনজি ড্রাইভার নাছির এবং উম্মে সালমাকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন  শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মৃত্যু

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আনোয়ার সাদেক, শাহীন, তোহা, নাগু ডাকাত, মধু, হোসনে আরা এবং তাদের পরিবারের সদ্যস্যরা অপহরণ চক্রের সক্রিয় সদস্য। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ আদায়ের কৌশল হিসাবে মহেশখালী থানাধীন কালারমারছড়া দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে ভিকটিমের মাকে বারং বার মোবাইলের মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এমনকি মুক্তিপন না দিলে শিশুটি হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। মুক্তিপন আদায়ের লক্ষ্যে অপহৃত শিশুকে বিভিন্ন সময় নির্মমভাবে মারধর করে ভিকটিমের মাসহ পরিবারের লোকজনদেরকে কান্নাকাটির শব্দ শোনায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল ও অফিসার ইনচার্জ টেকনাফ মডেল থানা, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এসআই সুদর্শন এসআই মাসুদ ফয়সাল ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ, মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকা, অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজি ও ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ইতোমধ্যে অপহরণ চক্রের মাস্টার মাইন্ড আনোয়ার সাদেকসহ এ পর্যন্ত নিম্নে বর্ণিত মোট ১৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় জড়িত অপহরণ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ