রাঙামাটিতে বিএনপির সভাপতিসহ ৯ নেতার পদ স্থগিত

প্রকাশিত: ২:২৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫

রাঙামাটিতে বিএনপির সভাপতিসহ ৯ নেতার পদ স্থগিত

প্রভাতবেলা ডেস্ক: রাঙামাটিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক, যুবদল, ছাত্রদলের ৯ নেতার দলীয় সব পদ-পদবি স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্তের লক্ষ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি।

অভিযুক্তরা হলেন- বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ওমর ফারুক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. নূর উদ্দিন, পৌর যুবদলের সদস্য নুর কবির, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিন্নাত, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জুম্মান, কাচালং কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারওয়ার গাজী, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ মোল্লা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবু নাছির ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, স্থানীয় বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতৃবৃন্দের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আপনারা দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করাসহ দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। এরূপ অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে দলের সব নেতাকর্মীকে বহুবার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আপনারা দলের দায়িত্বশীল পদে বহাল থেকে দলের সকল নির্দেশনা অমান্য করে এসকল গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড দলীয় সুনাম ও শৃঙ্খলা নষ্ট করেছেন। দলের নির্দেশনা অমান্য করে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দলীয় সুনাম ও শৃঙ্খলা নষ্ট করায় আপনাদের সব পর্যায়ের দলীয় পদপদবি ও পদের কার্যক্রম দলের গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হল।’

আরও পড়ুন  হাটহাজারীতে আ’লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ বলেন, চাঁদাবাজিসহ যেকোনও অভিযোগের বিষয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হলেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অভিযুক্তদের পদপদবি স্থগিত করেছি এবং অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আবু নাছিরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ