শেখ মুজিব : বাঙ্গালী জাতির এক অবিসংবাদিত নেতা

প্রকাশিত: ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০১৬

শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙ্গালী জাতির এক অবিসংবাদিত নেতার নাম। যাঁর আজন্ম কেটেছে বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। ১৯২০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল এই স্বল্প পরিসরের জীবনে এই ক্ষনজন্মা পুরুষ রেখে গেছেন এক অনবদ্য কীর্তি। শৈশব কাল থেকেই অতি প্রাকৃতিক নেতৃত্বের গুণাবলী সমৃদ্ধ ছিলেন শেখ মুজিব। বুলেটের মুখে দাঁড়িয়েও তিনি নেতৃত্বে পরিচয় দিয়েছেন মাথা উঁচু করে, অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়ে। জীবনের প্রতিটি ধাপে রেখেছেন নেতৃত্বের সমুজ্জল স্বাক্ষর। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের মধ্য দিয়েই শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু। ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে তাঁর সাহসী ভুমিকার ফলেই ১৯৫২ সালে এই আন্দোলন চুড়ান্ত রুপ পায়।
৫০এর দশকে তাঁর রাজনৈতিক বলিষ্টতা রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের পেছনে ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ নেতৃত্ব।
১৯৬৬ সালের শেখ মুজিব ঘোষিত ৬ দফা ছিল বাঙ্গালী জাতির মুক্তি সনদ। ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলন, ১৯৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্টিত করেন।
১৯৭২ সালের শুরুতেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ঝাঁপিয়ে পড়েন শেখ মুজিব । মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় শুরু হয় বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এক নতুন যুদ্ধ। এরই মধ্যে সক্রিয় হয়ে ওঠে স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে রাজনৈতিক অস্থিতশীলতা সৃষ্টি করতে উঠে পড়ে লাগে এই চক্রটি। এসময় বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ১৯৭৪ সালে তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে এক ছাতার নীচে আনতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা ‘বাকশাল’। একই সাথে অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ নেতৃত্ব কেবল বাঙ্গালী জাতিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিশ্ব পরিমন্ডলে তিনি হয়ে উঠেন গণমানুষের নেতা হিসেবে। শোষন নিপীড়নের বিপক্ষে তার বলিষ্ট কন্ঠস্বও বিশ্বনিপীড়িত মানুষের কাছে অসম্ভব গ্রহণযোগ্য করে তোলে তাঁকে।
এটাই তার জন্য ‘কাল’ হয়ে দাড়ায়। ১৯৭৫ সালরে ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে একদল বিপথগামী সেনা র্কমর্কতা হত্যা কওে শেখ মুজিব এবং তাঁর পরবিারের সদস্যদের। সদ্য স্বাধীন জাতির জীবনে এক অপূরণীয় ক্ষতি নিয়ে আসে এই জঘন্য হত্যাকান্ড, তৈরী করে রাজনতৈকি শূণ্যতা, ব্যাহত হয গণতান্ত্রিক উন্নয়নরে ধারা। যার উত্তরণ আজো আমরা ঘটাতে পারেনি। ৪০ বছর পরও জাতি বঙ্গবন্ধুর শূণ্যতায় ভূগছে। আজকের এই দিনে আমরা গভীর ভাবে স্মরণ করছি জাতির এই শ্রেষ্ট সন্তানকে। কায়মনোচিত্তে তাঁর ও পরিবারের শহীদ সকল সদস্যের আত্মার শান্তি কামনা করছি

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ