সিলেট ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
ক্রমাগত এ অবস্থা চলতে থাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন নদীর গতিপথ সচলসহ অন্য বিষয়গুলো দেখে থাকে। সেই কাজের অংশ হিসেবে নদীর দুই পাশের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫-৩০ বছর আগে কালীগঙ্গা নদীর উৎসমুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে নদীটি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর আগে লাহিনী এলাকায় নদীর মাঝখানে বাঁধ দিয়ে ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ সরকার রেললাইন নির্মাণ করেন এবং বাঁধের পাশে মহাসড়ক হওয়ায় কালীগঙ্গা গতিপথ হারায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া অংশের ছেউরিয়া থেকে শুরু করে লাহিনী, সাঁওতা, কমলাপুর, পিয়ারপুর, শালঘরমধুয়া, বাঁশগ্রাম, কুশলীবাসা, হরিনারায়ণপুর পর্যন্ত নদীটির দুই পাড়ে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। নদী দখল করে বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি করেছেন প্রভাবশালীরা। কেউ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন।
বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল (বিআরটিএন) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি খলিলুর রহমান মজু বলেন, কালীগঙ্গা নদীর উৎসমুখের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, গতিপথ সচল রাখতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল।
পরিবেশবিদ গৌতম কুমার রায় বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও দেশীয় মাছের উৎপাদন বিকাশে কালীগঙ্গা নদীর গতিপথ সচল ও নদী প্রশস্তকরণের বিকল্প নেই। অনেক দিন ধরেই এই দাবি উঠেছে। দখলবাজদের আগ্রাসনে নদীর অস্তিত্ব এখন নর্দমার রূপ নিয়েছে। কালীগঙ্গাকে বাঁচাতে বারবার দাবি উঠলেও কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি