যেই মেয়েটা শ্যামলা বরণ,
তুলে রিনিঝিনি চুড়ির কাঁপন
স্বপ্ন সুখের আকাশ চষে,
বেড়াতো সে হাওয়ায় ভেসে।
তার পরনে তাঁতের শাড়ি,
মিষ্টি বেজায় লাগতো ভারি
খেলতো ভ্রমর কাজল চোখে,
রঙীন টিপে কপাল সেজে
আটকে যেত সকাল-দুপুর
ঠোঁটের পাশের তিঁলের ভাজে।
গোলাপ ফুলের দুল গুলো
মানাতো বেজায় তারই কানে,
দীঘল কালো চুলের ঘ্রাণে,
মাততো প্রেমিক মাতাল টানে।

যেই মেয়েটার হৃদয় জোড়া প্রেম ছিলো,
সেই মেয়েটাই ভুল ছিলো।
যেই মেয়েটার মুখে হাসির ফুল ছিলো,
সেই মেয়েটাই ভুল ছিলো।
যেই মেয়েটার দীঘল চোখে স্বপ্ন সমুদ্দুর ছিলো
সেই মেয়েটাই ভুল ছিলো।
যেই মেয়েটার মমতামাখা প্রাণ জুড়ে বিশ্বাস ছিলো
সেই মেয়েটাই ভুল ছিলো।
যেই মেয়েটা মধুর প্রেমে জীবনটাকে জুড়ছিলো
সেই মেয়েটাই ভুল ছিলো।
যেই মেয়েটা বাসতো ভালো মানবতার ডাকটাকে
সেই মেয়েটাই ভুল ছিলো।

যেই মেয়েটার হৃদয় জুড়ে মিষ্টি হাসির আনাগোনা
সেই মেয়েটা হারিয়ে গেছে জীবন নদীর কোন কোণা?

সেই মেয়েটা এখন তো আর বিশ্বাসেতে হাসে না
সেই মেয়েটা এখন তো আর গভীর প্রেমে ভাসে না।
সেই মেয়েটার নিঃশ্বাসে অতল বিষের বান ডাকে
সেই মেয়েটা ডুবছে শুধু জীবন স্রোতের ঘোর পাকে।
সেই মেয়েটা বদলে গেছে কাঙাল পনা পথের শেষে
সেই মেয়েটা দুচোখ দিয়ে অগ্নি ঝরায় রুদ্র রোষে।

সেই মেয়েটা এখন জানে সরল সোজ হবার মানে
সেই মেয়েটা আর ছোটে না মরিচীকার আকর্ষণে।

যেই মেয়েটা জীবন পথে ভুলের ঘোরে ভুল ছিলো;
সেই মেয়েটাই ভুল ছিলো,সেই মেয়েটাই ভুল ছিলো।

[ভুলের ঘোরে ভুলতে ভুলতে সরল মানুষ গুলো একদিন গরল হয়ে যায়। ]