সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ১২:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
২৮ অক্টোবর ঘিরে দেশজুড়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা : রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধের পরিকল্পনা
পাল্টা শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংঘাত ও সহিংসতার শঙ্কা জনমনে
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকামুখী চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচিতে কিছুটা বদল আনা হয়েছে। এখন শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে একযোগে চলবে আন্দোলন। এবারের এই ‘নো রিটার্ন’ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ‘ফয়সালা’ করতে চায় বিরোধী দলটি। মুখে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের কথা বললেও ‘বাধা দিলে বাধবে লড়াই’– ভেতরে ভেতরে এমন উজ্জীবিত স্লোগান মনে গেঁথে রেখেছেন নেতাকর্মীরা। এবার বিনা চ্যালেঞ্জে আওয়ামী লীগকে একতরফা নির্বাচন করতে দেবে না তারা।
অবশ্য বিগত দুটি আন্দোলনে ‘ব্যর্থ’ বিএনপি। কৌশল গ্রহণেও ‘সফল’ হয়নি তারা। ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণও ‘ভুল’ ছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের অনেকেই। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন তারা। নির্বাচন বর্জন ও অংশগ্রহণে সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপির দাবি সঠিক ও যথাযর্থ, যা এরই মধ্যে দেশে-বিদেশেও সমর্থন পেয়েছে। তবে এবারের আন্দোলনের সফলতা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ আশাবাদী হলেও সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সরকারের সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা সুসংগঠিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সুবিধাভোগী সরকারি কর্মকর্তাদের প্রবল শক্তির সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিএনপি কি রাজপথে দাঁড়াতে পারবে?
একই সঙ্গে সমমনা দল ও জোটের ৩৬ দলও আলাদা সমাবেশ সফল করার বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। গত সোমবার গুলশান কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা প্রথম বৈঠকে আন্দোলনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সমমনা নেতারা পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে সচিবালয় ঘেরাওসহ সরকারের ভূমিকার ওপর নির্ভর করে সম্ভাব্য কয়েকটি নতুন কঠোর কর্মসূচির প্রস্তাব দিয়েছেন। এরই মধ্যে চূড়ান্ত কর্মসূচি হিসেবে ঢাকাসহ সারাদেশে রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধের কর্মসূচিও রয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গতকাল বলেন, বিএনপির পাশাপাশি সমমনা দলগুলো দফায় দফায় বৈঠক করে মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোনো আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করার ব্যাপারেও প্রস্তুত থাকবে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতাকর্মীরা। বিভাগীয় শহরে সফরকালেও আমরা স্থানীয় নেতাদের আন্দোলনের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়ে এসেছি।
এরই মধ্যে ঢাকামুখী হয়েছেন সারাদেশের দলীয় নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে এবার গাড়ি ভাড়া করে একসঙ্গে আসছেন না তারা। বাস-ট্রেনসহ নানা গণপরিবহনে সাধারণ যাত্রীবেশে ঢাকায় আসছেন। ঢাকায়ও কোনো হোটেল বা মেসে উঠছেন না। আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের বাসায় অতিথি হিসেবে অবস্থান করছেন। রাজধানীতে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করছেন। ঢাকাসহ সারাদেশে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। নেতাকর্মীরা রাতে নিজ বাসাবাড়িতে অবস্থান না করলেও গ্রেপ্তার এড়াতে পারছেন না। পুলিশ এরই মধ্যে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে দলটি।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি