প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২০

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

প্রভাতবেলা প্রতিবেদক:

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সিলেটে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার পর থেকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়।

নগরীর চাঁদনীঘাটে সোমবার বেলা ১টায় প্রতিমা বিসর্জনের উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় থেকে সিলেটে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর একের পর এক বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে ঘাটে প্রতিমা আসতে থাকে বিসর্জনের জন্য।

শঙ্খ আর উলুধ্বনি, খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী-বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন ভক্তরা। বিধি-নিষেধের কারণে শোভাযাত্রায় ভক্তদের সংখ্যা ছিলো অন্য বছরের তুলনায় কম।

চাঁদনীঘাট ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। বিসর্জনের জন্য একটি ট্রাকে একসঙ্গে অনেক মানুষ গেলেও এবার একটি ট্রাকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ১০ জনের বেশি মানুষ দেখা যায়নি।

প্রতিমা ঘাটে নেয়ার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতি করেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে নৌকায় তুলে বিসর্জন দেয়া হয়।

আরও পড়ুন  মাধবপুরে যুবকের পচনধরা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চণ্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয় দুর্গাপূজা। করোনা মহামারির কারণে সংক্রমণ এড়াতে এ বছর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে শুধু ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। করোনার কারণে এবার হয়নি বিসর্জনের শোভাযাত্রা। হয়নি সিঁদুর খেলা।

পূজা উপলক্ষে এবার বেশকিছু বিধিনিষেধও জারি করা হয়। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি সীমিত করা ও সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেয়া হয় পূজামণ্ডপ। ছিল না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়। পূজার সময় বেশিরভাগ ভক্ত এবার অঞ্জলি নিয়েছেন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে।

এবারের সিলেটে প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রা বর্জন, বিসর্জনকালে শিশু-মহিলা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সাথে না রাখা, প্রতিমা বহনকালে রাস্তায় মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম না বাজানোর কারণে অনেকটা সাদামাটাভাবে বিসর্জন দেয়া হয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গাকে। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে সন্ধ্যার আগেই সিলেটে শেষ হয় প্রতিমা বিসর্জন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ