মোনামী ও মুহি’র ছড়িয়ে পড়া ছবি এআই এডিটেড

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

মোনামী ও মুহি’র  ছড়িয়ে পড়া ছবি এআই এডিটেড

প্রভাতবেলা ডেস্ক :সহকারী অধ্যাপক শেহরীন মোনামী ও ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মো. মহিউদ্দীন খানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ছবিতে তাদের দুজনকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় দেখা গেছে।

তবে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছড়িয়ে পড়া ছবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি দ্বারা সম্পাদন করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী আলোচনায় আসেন গত বছরের জুলাই আন্দোলনে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি মার্চ ফর জাস্টিসে পুলিশের হাতে আটক হওয়া শিক্ষার্থীকে ছাড়াতে গিয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়ান তিনি। তখন আহতও হন ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিন মোনামী।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম তার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। যদিও পরে তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন হামিম।

আরও পড়ুন  সিলেটে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের অবস্থার অবনতি

এবার সহকারী অধ্যাপক শেহরীন মোনামী ও ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মো. মহিউদ্দীন খানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ছবিতে তাদের দুজনকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় দেখা গেছে।

 

তবে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছড়িয়ে পড়া ছবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি দ্বারা সম্পাদন করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

 

 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মহিউদ্দীন খান ও শেহরীন আমিনের ভাইরাল ছবিটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে তাদের আলাদাভাবে তোলা দুটি ছবি সংগ্রহ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পাদনা করে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে।

 

প্রাথমিক অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে এই ছবির অস্তিত্ব মেলেনি। তবে শেহরীন আমিনের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার (বর্তমানে অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় নয়) এবং মহিউদ্দীন খানের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারে ব্যবহৃত পৃথক ছবিগুলোর সঙ্গে আলোচিত ছবির পোশাক ও বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য লক্ষ করা গেছে।

আরও পড়ুন  গ্লোব বায়োটেকের টিকার অনুমোদন শীঘ্রই

আলোচিত ছবিটি সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এর নিচের ডান কোণে গুগলের জেমিনি এআইয়ের জলছাপ দেওয়া যায়। এ ছাড়া শেহরীন আমিনের ছবির অংশবিশেষ আলোচিত ছবিতে দেখা যায়।

 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট গুগল ডিপমাইন্ড ‘ন্যানো বানানা’ নামে একটি উন্নত ইমেজ এডিটিং মডেল উন্মোচন করেছে, যা বর্তমানে গুগলের এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট জেমিনির মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এই মডেল ব্যবহারকারীদের উন্নত ও সৃজনশীলভাবে ছবি সম্পাদনার সুযোগ প্রদান করে।

 

এর একটি বিশেষ ফিচার হলো ‘ব্লেন্ড ফটোস টুগেদার’, যার মাধ্যমে পৃথকভাবে তোলা একাধিক ছবি একত্র করে নতুন একটি দৃশ্য তৈরি করা সম্ভব।

অর্থাৎ মো. মহিউদ্দীন খান ও শেহরীন আমিনের পৃথক ছবি এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং মো. মহিউদ্দীন ও শেহরীন আমিনের জড়িয়ে ধরার ভাইরাল ছবিটি সম্পাদিত

সর্বশেষ সংবাদ