সিলেট ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৩
বিএনপির নেতা-কর্মীদের অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা বা গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। অনেকে বলছেন তারা আত্মগোপনে আছেন।
এমন পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের মাঠে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে। কিন্তু এভাবে তাদের কতটা সক্রিয় করে তোলা যাবে, আন্দোলনের লক্ষ্য কতটা অর্জিত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
আন্দোলন সফল করার জন্য কীভাবে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আরও সক্রিয় করে তোলা যায়, তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়, এ নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে বিএনপির শীর্ষ মহলে। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে এখন গ্রেফতার আতঙ্ক রয়েছে।
এর মধ্যেই বিএনপির মহাসচিব, জ্যেষ্ঠ নেতারাসহ একাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। আন্দোলন দমন করার জন্য এসব গ্রেফতার ও সাজা দেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে।
এ কারণে চলমান অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিতে রাজপথে খুব একটা সক্রিয় অবস্থানে দেখা যায়নি দলটির নেতা-কর্মীদের। এসব কর্মসূচিতে বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল বা রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করা ছাড়া তেমন কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান ছিল না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক মহিউদ্দিন আহমেদের মতে, বিএনপি তাদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সংশ্লিষ্টতার কথা বললেও তাদের হরতাল বা অবরোধের মত কর্মসূচি মানুষের সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৪-১৫ সালে এই ধরনের কর্মসূচি দিয়েও নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, তাদের আন্দোলনও সফল হয়নি। এভাবে আন্দোলন করে লক্ষ্য কতটা অর্জন করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সামনের দিনগুলোতে হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি নতুন ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হলে নেতাকর্মীরা আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে ইঙ্গিত দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, গ্রেফতারের ঝুকি থাকলেও সরকারের পতন ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
বিএনপি নেতাদের দাবি, বিএনপির এই চলমান অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সাধারণ মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন। আন্দোলন আরো জোরদার হলে সাধারণ মানুষ বেরিয়ে এসে সরাসরি অংশ নেবেন বলে তারা মনে করেন। এর মাধ্যমেই তাদের আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যাচ্ছে, আন্দোলনের পক্ষে মাঠে আরো জোরালো উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তাদের তাগিদ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অনেকে গ্রেফতার এড়িয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চান।
তিনি বলছেন, নির্বাচন যতো এগিয়ে আসবে, আন্দোলন ততো জোরদার হয়ে উঠবে। সেই জন্য তারা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, চলমান আন্দোলনে তাদের ওপর মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা আসলেও সামনের দিনগুলোতে কর্মসূচি ঠিক কি হবে, সে বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট ধারণা নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয় হলেও হরতাল বা অবরোধের মত পুরনো ধাঁচের কর্মসূচি দিয়ে দাবি আদায় করা কঠিন হবে বিএনপির জন্য।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করছেন, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়টির চেয়ে আন্দোলনের নতুন কৌশল ও কর্মসূচি নির্ধারণ করা বিএনপির জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি