গণতন্ত্র নষ্ট করতে চাইলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৩

গণতন্ত্র নষ্ট করতে চাইলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কেউ গণতন্ত্র নষ্ট করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্কটল্যান্ডের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

 

মন্ত্রী বলেন, আমি তাদের বলেছি, আপনারা ভালো দিনে এসেছেন। আমরা মনোনয়নপত্র দাখিল করবো। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। সে কারণে প্রাতিষ্ঠানিক যা যা করার, বায়োমেট্রিক ব্যালট, আইডি, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছি। আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ অবাধ নির্বাচনের জন্য। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি সরকার পরিবর্তনের হাতিয়ার হচ্ছে নির্বাচন। আমরা গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে চাই। কেউ গণতন্ত্র নষ্ট করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

‘আমাদের দেশের অনেকগুলো দল, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়নি, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বিভিন্ন অজুহাত খোঁজে। গেল ২৮ অক্টোবর যা আমরা দেখেছি। তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে যে কাণ্ড করেছেন, বিচারকদের আক্রমণ করেছেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছেন।’

 

আরও পড়ুন  কৃষি ও বসতবাড়ির জমিতে শিল্পকারখানা নয় : প্রধানমন্ত্রী

আব্দুল মোমেন বলেন, স্কটল্যান্ডের ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল এসেছে ঢাকায়। এদের মধ্যে তিনজন সংসদ সদস্য। একজন কনজারভেটিভ, আরেকজন লেবার ও তৃতীয়জন গ্রিন পার্টির সদস্য। তিনদলের তিনজন একসঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। ভবিষ্যতে আমাদের দেশেও এমন হবে বলে আশা করছি।

 

মন্ত্রী বলেন, আজ আমার সঙ্গে তাদের জলবায়ু, রোহিঙ্গা, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি একটি ভালো আলোচনা ছিল। তারা শ্রম ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন শ্রমিকদের বেতন ছিল ৮০০ টাকা। পরে সেটা বাড়িয়ে ৫ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে। পরে আবার বাড়িয়ে আট হাজার ৩০০ ও এবার সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে।

 

বিশ্বের কোনো দেশে শ্রমিকদের এত বেশি বেতন বাড়ে না বলেও মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি শ্রমকিদের বাসস্থান, চিকিৎসা সহায়তা ও গর্ভবতীদের জন্য ছয়মাসের ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন  গুলশানের‘ফিরোজা’য় ফিরলেন বেগম জিয়া

 

‘আমরা শ্রমিকবান্ধব সরকার, এ বিষয়ে আমরা সতর্ক। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, শ্রমিক ইউনিয়ন বাড়াতে হবে। তাদের দেশে ইউনিয়ন কমে যাচ্ছে বলে আমাদের দেশে বাড়াতে চায়। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি নেই। আমরা একটি শর্ত দিয়েছি যে ২০ শতাংশ শ্রমিক যদি ইউনিয়ন করতে রাজি হন, তাহলে তাদের স্বাগত। আর বড়ো কোম্পানিতে কোনো শতাংশ বিবেচ্য না। তবে আমরা একদিনে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপের মতো বেতন দিতে পারবো না।’

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তবে আমরা একটি জিনিস চাই, তারা যে পণ্যটি আমাদের কাছ থেকে কিনেন, তার দাম কেন বাড়াচ্ছেন না। তারা এক ডলার অতিরিক্ত দেন, সেটা আমরা শ্রমিকদের দিয়ে দেবো। আপনারা কী পারবেন, আপনারা জোট করেন, আন্দোলন করেন। আপনারা যদি দাম বাড়ান, সেটার পুরোটা শ্রমিকদের দিয়ে দেবো। আমরা সস্তায় বিক্রি করি বলে আপনারা কেনেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ