ফেনীতে নারী ভিক্ষুককে ইটভাটায় নিয়ে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ১:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩

ফেনীতে নারী ভিক্ষুককে ইটভাটায় নিয়ে গণধর্ষণ

প্রভাতবেলা ডেস্ক:

ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে এক নারী ভিক্ষুককে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলে ইটভাটায় নিয়ে গণধর্ষণ করেছেন কয়েকজন শ্রমিক। এ ঘটনায় জড়িত ৫ শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হবে।

 

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে লেমুয়া বাজার এলাকায় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করেন এক নারী। ঘোরাফেরা করা অবস্থায় মেহেরাজ নামে এক যুবক তাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ছনুয়া ইউনিয়নের এবিএম ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে যান। সেখানে শ্রমিকদের থাকার কক্ষে মেহেরাজ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর পালাক্রমে সমির, দেলোয়ার হোসেন, তারেক, রমজান আলী, বাবু, মেহরাজ, রিদনসহ কয়েকজন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তাকে বাসে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য মহাসড়কে নিয়ে গেলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন।

 

সূত্র আরো জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক সমির, দেলোয়ার হোসেন, তারেক, রমজান আলী, বাবুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার সমির নোয়াখালীর হাতিয়া থানার ইউনুছপুর গ্রামের হেজু সর্দার বাড়ির জামাল মিস্ত্রীর ছেলে, দেলোয়ার একই থানার মন্নান নগর প্রকল্পের আব্দুর মোনাফের ছেলে, তারেক ভয়ের চর গ্রামের জহিরের ছেলে, রমজান সুধারাম থানার মঞ্জু চেয়ারম্যান পাড়ার আদর্শ গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে, বাবু একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। পলাতক আসামিদের মধ্যে মেহরাজ ইউনুছপুর এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে, রিদন ও সালাউদ্দিনের বাড়ির পরিচয় জানা যায়নি।

 

মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেন, রাজু নামে তার ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মাদরাসায় লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালানোর জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষাবৃত্তি করেন।

 

ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ওই ঘটনায় ৫ জনের গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হবে।

 

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ