সিলেট ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া:
মেছতা কী?
মুখের অংশবিশেষে কালচে বা বাদামি ছোপ বা দাগকেই আমরা মেছতা বা মেসতা বলে জানি।
চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় এটিকে ‘মেলাসমা’ বলা হয়। মুখের মধ্যে গালের উপরিভাগে এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। প্রথম অবস্থায় ছোট আকারে দেখা দিলেও এটি আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যায়। অনেক সময় নাকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এটি ছড়িয়ে পড়ে, তখন ত্বকের ওপর অনেকটা প্রজাপতির আকার ধারণ করে।
এ ছাড়া অনেক সময় কপালে ভ্রুর ওপর এবং চিবুকেও এই মেছতা ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
কেন হয়?
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেছতার প্রাদুর্ভাবের পেছনে বংশগত প্রবণতা দেখা যায়। শতকরা হিসাবে বলতে গেলে প্রায় ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত ইতিহাস পাওয়া যায়। আর যেসব ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাঁদের নিকট পূর্বপুরুষদের মধ্যে কারো মেছতা থাকার ইতিহাস জানেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আরো দূরের পূর্বপুরুষ, যাঁদের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের সাক্ষাৎ ঘটেনি, তাঁদের মধ্যে কারো মেছতা ছিল বলে ধারণা করা হয়।
মেছতার প্রকারভেদ
আমরা অনেকেই হয়তো জানি আমাদের ত্বকে তিনটি স্তর রয়েছে।
মেছতার দাগটি মূলত ত্বকের এপিডারমিসের তলার দিকে অবস্থিত মেলানোসাইট নামের কোষ কর্তৃক অতিরিক্ত পিগমেন্ট (যা মেলানোসোম নামে পরিচিত) তৈরির কারণে ঘটে থাকে। এই পিগমেন্টগুলো যখন শুধু ত্বকের ওপরের স্তর এপিডারমিসে থাকে, তখন তাকে ‘এপিডারমাল’, দ্বিতীয় স্তরে থাকলে ‘ডার্মাল’ এবং তৃতীয় স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়লে ‘মিক্সড’ অর্থাৎ ‘মিশ্রিত মেছতা’ নামে অভিহিত করা হয়।
মেছতার চিকিৎসা
এ রোগের চিকিৎসা নিয়ে রয়েছে বহুবিধ বিভ্রান্তি। যেহেতু মেছতা মুখের ব্যাপক সৌন্দর্যহানি ঘটায় এবং এ রোগের জন্য আক্রান্ত ব্যক্তি প্রচুর মনঃকষ্টের শিকার হয়ে থাকেন, তাই মানুষের মনের এই সংবেদনশীলতাকে অপব্যবহার করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেছতা চিরনির্মূল করার অঙ্গীকারসমেত অত্যন্ত ক্ষতিকর উপাদানে প্রস্তুত কিছু প্রলেপ বাজারে ছড়িয়ে যাচ্ছেন, যা ব্যবহারে মেছতা চিরতরে নির্মূল তো হয়ই না, বরং ত্বকের ক্ষতিসাধন করে থাকে, যা অনেক সময় প্রতিকারের অযোগ্য হয়ে যায়।
মেছতা প্রতিকারে করণীয় কী?
মেছতার চিকিৎসার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। অবশ্যই এর চিকিৎসা ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হওয়া উচিত। রোগের প্রকারভেদ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছুদিন একটি চিকিৎসাপদ্ধতি অনুসরণ করার পর যখন সমস্যাটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তখন বিশেষভাবে পালনযোগ্য কিছু নিয়ম রোগীকে প্রায় সারা জীবন ধরেই পালন করে যেতে হয়, যা ত্বকবান্ধব এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ।
একবার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে এলে যাঁরা চিকিৎসকের বলা কথাগুলো আমলে আনেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে মেছতার পুনরাবির্ভাব একটি প্রায় অবশ্যম্ভাবী ঘটনা।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি