হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই, ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ৯:১১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৫

হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই, ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

প্রভাতবেলা ডেস্ক: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পুলিশের ভ্যান থেকে হাতকড়া পড়া অবস্থায় লাফ দিয়ে মাদকসহ আটক স্বামী-স্ত্রী পালিয়ে গেছেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুনিরুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযানে যাওয়া ভূরুঙ্গামারী থানার এক এসআই ও এক এএসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মাসুদ রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন- হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী সমেলা বেগম। তারা উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকার বাসিন্দা। অভিযানে তাদের কাছে থাকা ১৬২০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী সমেলা বেগমকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছে থাকা ১৬২০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে থানায় আসার সময় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের আত্মীয়দের বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করার সময় সুযোগ বুঝে আসামি হাফিজুর ও তা স্ত্রী ভ্যান থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় হাফিজুরের হাতে হাতকড়া ছিল। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পলাতক হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি হাতকড়াও।

এদিকে এ ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুনিরুল ইসলামকে জেলা বিশেষ শাখায় (ডিএসবি) বদলি করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযানে থাকা পুলিশের এসআই আরিফ মাহমুদ আপেল, এএসআই আলমগীর হোসেন সোহাগ ও চার কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন  দশ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

পুলিশ জানায়, মাদক উদ্ধারের ঘটনায় হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের কাজে বাধাদান ও আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে পৃথক আরও একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ভ্যান থেকে হাতকড়া পড়া অবস্থায় আসামি ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তারা এখনো পলাতক রয়েছেন। হাতকড়াও উদ্ধার হয়নি। পুলিশের কাজে বাধাদান ও আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে হওয়া মামলায় আনোয়ার হোসেন ও তার বাবা আব্দুস সালাম নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এএসপি মো. মাসুদ রানা বলেন, ওসিকে বদলি করা হয়েছে। এক এসআই ও এএসআইসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ