হারুন ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২৪

হারুন ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রভাতবেলা ডেস্ক: শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আদালত।

মঙ্গলবার দুদকের আবেদনে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেয়। দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

“পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বিচারক আদেশের একটি অনুলিপি বিশেষ শাখার স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশের (ইমিগ্রেশন) কাছে পাঠিয়েছেন।”

দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে তিনি বলেন, হারুনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। ওই দম্পতি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। তাই তাদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

এর আগে ১৮ অগাস্ট হারুন অর রশীদ এবং তার স্ত্রী, সন্তান ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়।

আরও পড়ুন  কোথায় কল করে কোন্ সেবা পাবেন

২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিএমপির ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পালনকালে হারুন তার কার্যালয়ে অভিযোগ নিয়ে আসা বিভিন্নজনকে ভাত খাওয়ানো এবং সেসব ছবি ফেইসবুকে শেয়ার করে বেশ আলোচনায় ছিলেন।

সবশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারীকে নিরাপত্তা দিতে তার কার্যালয়ে কয়েকদিন আটকে রাখেন তিনি। তাদের আপ্যায়ন করার একটি ছবি আবার আলোচনা তৈরি করে।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ উষ্মা প্রকাশ করে বলে, “ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।”

এরপরই গত ৩১ জুলাই তাকে ডিবি থেকে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্সে বদল করা হয়। বদলির পর থেকে নিশ্চুপ ছিলেন তিনি।

প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপরই দাপুটে এই পুলিশ কর্মকর্তার আটক হওয়ার খবর চাউর হয়েছিল। কিন্তু পরদিন তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তার আটক হওয়ার খবরটি নাকচ করে দেন।

রাষ্ট্র ক্ষমতার পালাবদলে পুলিশের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন হারুন। তবে এখন তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি।

আরও পড়ুন  চট্টগ্রাম কালুরঘাট বিসিকে ফোম কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

তবে এর মধ্যে গত ১৫ অগাস্ট খিলক্ষেত লেকসিটি কনকর্ডের ‘বর্ণালী’ ভবনের নিচে হারুনের গাড়ি রাখা আছে এমন খবর পেয়ে সেখান অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। প্রায় ২ ঘণ্টার অভিযান শেষে ওই ভবনের গ্যারেজ থেকে এক ব্যক্তি এবং একটি সাদা মাইক্রোবাস নিয়ে চলে যান সেনা সদস্যরা।

তবে ওই গাড়ির মালিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ