সেইসাথে ঘোষণা করা হয়েছে চারদিনের কর্মসূচি। গতরাতে মিঠুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডিবি পরিচয়ে ঢুকে এ হত্যাকাণ্ড চালায় ৬ যুবক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত মিঠুর মার প্রশ্ন, প্রশাসনের চেয়েও সন্ত্রাসীরা বেশি ক্ষমতাবান কি না? এই ঘটায় নিন্দা ও শোক জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন বিএনপি নেতা মিঠু। এসময় ৩টি মটর সাইকেল যোগে আসা ৬ যুবক, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ঢোকে মিঠুর অফিসে। খুব কাছ থেকে মিঠু ও তার দেহরক্ষী নওশের আলীকে গুলি করে হত্যা করে।
এরপর ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে ফুলতলা উপজেলা সদরের দিকে পালিয়ে যায় তারা। মিঠুর বাবা কাশেম এবং বড় ভাই বাদলের খুনীরাই মিঠুকে হত্যা করেছে বলে ধারণা পরিবারের। বেশ কিছুদিন শান্ত থাকার পর ফের এই নৃশংস হত্যা, আতংক ছড়িয়েছে খুলনার মানুষের মধ্যে।
নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছেন মিঠুর পরিবার, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা। হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। পুলিশের ধারণা, হত্যার পেছনে জড়িত থাকতে পারে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা। বাবা ও বড় ভাই হত্যার সঙ্গে মিঠু হত্যার যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১৯৯৮ সালের ১৮ আগস্ট মিঠুর বাবা, দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আবুল কাশেম এবং ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদলকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
