ওয়াজ মাহফিলেই ক্ষিপ্ত ফয়জুল

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৮

ওয়াজ মাহফিলেই ক্ষিপ্ত ফয়জুল

মোবাইলের মেমোরি কার্ডে ওয়াজ ও ডকুমেন্টারি দেখতেন নিয়মিত। মাহফিল শুনতেন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে। কম্পিউটারের দোকানে কাজের সুবাদে এসব জিনিস সংগ্রহ করতে সুবিধা হয় তার। দেশের বাইরে থেকে এক চাচা তাকে অনুপ্রেরণা দিতেন এসব কাজে। তাতেই জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ড. জাফর ইকবালকে হত্যার টার্গেটে হামলা করেছিলেন ফয়জুল হাসান।  (১৮ মার্চ) রোববার  আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য দেন তিনি।

আদালতে জবানবন্দিতে ফয়জুল জানান, প্রবাসে থাকা তার চাচা তাকে এ পথে আসতে অনুপ্রাণিত করেন। তিনি একটি ল্যাপটপ দেন। সেই সঙ্গে সিলেট নগরের রাজা ম্যানশনে কম্পিউটার ও ফটোস্ট্যাট দোকানে চাকরিকালে মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত জঙ্গিবাদি তথ্য-উপাত্ত ও ভিডিওচিত্র দেখে এবং অনলাইনে ওয়াজ শুনে তিনি জঙ্গি আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিপথগামী হন।

আদালতের জবানবন্দির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী প্রভাতবেলা’কে এ তথ্য জানান। তবে ফয়জুলকে মেমোরি কার্ড দেওয়া জনৈক ব্যক্তির নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করেননি তিনি।

আরও পড়ুন  বড়লেখার বর্নী থেকে ৩২ বস্তা সরকারী চাল উদ্ধার

তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ফয়জুল। কি উদ্দেশ্যে, কেন ড. জাফর ইকবালকে হত্যা করতে চেয়েছে- এর সব কিছুই জবানবন্দিতে বলেছেন।

মূলত বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিল শুনে এবং মেমোরি কার্ডে থাকা ওয়াজ, বয়ান, তথ্যচিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হন। তবে ফয়জুল আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

জবানবন্দিদে ভূতের বাচ্চা সোলাইমান পড়ে ড. জাফর ইকবালের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার কথাও স্বীকার করেন ফয়জুল। তবে এই হত্যাচেষ্টায় আরো লোক জড়িত থাকার কথাও বলেছেন তিনি।

অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, এটা নিশ্চিত যে, হত্যার উদ্দেশ্যেই জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী হয়ে ড. জাফর ইকবালের উপর হামলা করেছিলেন ফয়জুল। অবশ্য তিনি বড় কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।

ফয়জুলের জবানবন্দির বরাত দিয়ে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ