রাতের আঁধারে শত শত বারকী নৌকায় পাথর পাঁচার

প্রকাশিত: ১:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০১৭

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি : সিলেটের সিমান্ত বর্তী গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার জাফলং শ্রীপুর পাথর কোয়ারিগুলো যেনো মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞ উপেক্ষা করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনেকালে প্রান হারাচ্ছেন দিনমজুর শ্রমিকরা । প্রশাসনের সামনেই পাথর উত্তোলনে অব্যাহত রয়েছে প্রভাবশালী মহল এক শ্রেণির অসাধু বারকি শ্রমিক আর প্রশাসনের যোগসাজশে জিরো পয়েন্ট থেকে নৌকা প্রতি ১২শ টাকার বিনিময়ে পাথর আনার সুযোগ তৈরী করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রতি রাতেই প্রায় শত শত বারকি নৌকা দিয়ে জিরো পয়েন্টের দর্শণীয় স্থান হতে পাথর সরিয়ে নিচ্ছে বারকি শ্রমিকরা । বিনিময়ে প্রতিদিনই প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন ও পাথর শ্রমিক সংগঠনের অসাধু নেতৃবৃন্দরা ।প্রশাসন ও পাথর শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পকেট ভারী হলেও ক্রমশই বিলীন হয়ে যাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র জাফলং, শ্রীপুর জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য্য । প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকায় পাথর উত্তোলন ও টিলা ধসে মৃতুর সংখ্যা দিনদিন কেবলই বাড়ছে । অর্থ লোভী প্রভাবশালী মহল এলাকার কোয়ারিগুলোতে আধিপত্য বিস্তার করে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৫/৬ ফুট গভীরে হলে পাথর উত্তোলন ঝুকিপূর্ণ । সেখানে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে ৬০/৭০ ফুটের বেশি গভীর থেকে পাথর উত্তোলন হচ্ছে। প্রশাসন কেন এমন ভয়ানক ভাবে পাথর উত্তোলন কারী মালিকদের থামাতে গুলি করেনা ,এমন প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের ।পাশাপাশি কোয়ারিতে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করার প্রবণতা ও সংশিষ্টদের আদালত অবমাননার সামিল বলে মন্তব্য করছেন পরিবেশ আইনবিদরা । স্থানীয়দের দাবি অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন থামাতে প্রশাসনের ইচ্ছা যথেষ্ট ।
স্থানীয়দের মতে, প্রশাসন অভিযানে বেরোবার আগেই খবর পেয়ে পালিয়ে যায় অবৈধ পাথর উত্তোলনকারিরা । অভিযানে ধ্বংসকৃত সরজ্ঞামাদিন বেশিরভাগই থাকে পরিত্যাক্ত। যে কারণে অভিযানের নামে হয় আইওয়াশ। প্রশাসনের দাবি পাথর খেকোদের সংঙ্গে তারা পেরে উঠছেন না ।

সর্বশেষ সংবাদ