২৫ জেলায় বন্যা : বানভাসিদের দুঃসহ জীবন

প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২০

২৫ জেলায় বন্যা : বানভাসিদের দুঃসহ জীবন
প্রভাতবেলা প্রতিবেদক: যতদূর চোখ যায়, চারদিকে শুধু পানি আর পানি। বানের জলে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি। জীবন বাঁচাতে বানভাসি মানুষগুলোর শেষ আশ্রয়স্থল সড়ক। তবে সেখানেও বৃষ্টির হানা, খাবারের অভাবে দুঃসহ জীবন পার করছেন তারা।

 

ভারি বর্ষণের সঙ্গে এলোমেলো বাতাস দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে বানভাসিদের। বাতাসের তোড়ে বৃষ্টির পানি ঘরে ঢুকে ভিজিয়ে দিচ্ছে আসবাব।

 

কোরবানির ঈদ ঘিরে যারা পশু লালন-পালন করেছিল, বন্যার কারণে তারাও পড়েছে সংকটে। অনেকে পানির দামে বিক্রি করে দিচ্ছে পশু। দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কারণে দুঃসহ জীবন পার করছেন দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের কমপক্ষে ২৫ জেলার মানুষ।

 

প্রথম দফায় ৩০ জুন, ১১ জুলাই দ্বিতীয় দফা বন্যার পর তৃতীয় দফায় ফের দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ধেয়ে আসছে বন্যা। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় ভারি বর্ষণও শুরু হয়েছে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বৃষ্টি।

 

আরও পড়ুন  কৃষি শ্রমিক সংকট : উৎকন্ঠায় কৃষক

অন্যদিকে ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ অন্যান্য রাজ্যেও ভারি বর্ষণ চলছে। ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও দেশের ভেতরে ভারি বর্ষণের কারণে আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি সমতল থেকে দ্রুত বাড়তে থাকবে।

 

এতে বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হতে পারে। এমনই আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সংস্থাটি বলেছে, এই মাসের বাকি দিনগুলোও বন্যাকবলিত থাকবে দেশের কমপক্ষে ২৫ জেলা।

 

এ ব্যাপারে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী উদয় রায়হান বলেন, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও হিমালয়ে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। আমাদের দেশেও গত রবিবার থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে তিস্তা, ধরলা, সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে উত্তর ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে। জুলাই মাসজুড়েই বন্যা থাকতে পারে।

আরও পড়ুন  মাওলানা মামুনুল ও ফয়জুল করিমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাস্কর্য ভাঙচুর

 

বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ তথ্য বলছে, তাদের পর্যবেক্ষণে থাকা ১০১টি স্টেশনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪টি স্টেশনের পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে। ৬৬টি স্টেশনের পানি বাড়ছে। ৩২টির কমছে। আর অপরিবর্তিত আছে তিনটি স্টেশনের পানি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ