শাবিতে ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশিত: ৯:০২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০১৮

শাবিতে ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ

শাবি সংবাদদাতা: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সালমান নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক।

 মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল থেকে তাকে আটক করে জালালাবাদ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আবু সালমান নামের এক শিক্ষার্থীকে আমাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তারিকুল ইসলাম কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

মঙ্গলবার বিকেলে ১০-১৫ জন কর্মী নিয়ে শাহপরান হলের দিকে যান আবু সালমান। এমন সময় বিবাদমান গ্রুপের নেতা ও সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম শাহপরান হলের সামনে তাকে মারধর করেন। পরে তাকে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে এসে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

তবে তারিকুল ইসলাম তারেক মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি  বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা, কেউ তাকে মারধর করেনি নি। সে বহিরাগত ১৫-২০ জনকে নিয়ে আসলে জুনিয়ররা তাকে আটক করে হল প্রভেস্ট এর কাছে তুলে দেন। পরবর্তীতে হল প্রভোস্ট তার মোবাইল ঘেটে হলে নাশকতা করতে পারে, এরকম ডুকেমন্ট পেলে তিনি তাকে পুলিশে সোপর্দ করে দেন।’

আরও পড়ুন  জকিগঞ্জে ২ ভোটের ব্যবধানে মেয়র হলেন আহাদ

অন্যদিকে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান খান অভিযোগ করেন, ‘শাহপরান হলের বৈধ ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে হলের দিকে দিকে গেলে প্রক্টরের উপস্থিতিতে সহ-সভাপতি তরেক ও তার অনুসারীরা সালমানকে মারধর করেন।’

আবু সালমান শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি (বহিস্কৃত) আবু সাঈদ আকন্দের অনুসারী। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত এ শিক্ষার্থী শাখা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে পদপ্রত্যাশী। সার্বিক বিষয়ে জানতে হল প্রভোস্ট মো. শাহেদুল হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি (বহিস্কৃত) আবু সাইদ আকন্দ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি তারিকুল ইমলাম তারেকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এফইটি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এসএম আব্দুল্লাহ রনি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পরদিন তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ১০ জনের নামোল্লেখ করে আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ঐ দিন আরেক সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন  পপুলার হাসপাতাল ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিক আহত

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ