প্রভাতবেলা প্রতিবেদক♦ সিলেটে দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত তরুণ প্রকৌশলী সহ দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার্থে দু’জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন, তরুণ প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ ও তার সংগে থাকা মাজহার। হাসান মাহমুদ দক্ষিণ সুরমার কদমতলির  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল বাছিত সেলিমের্ একমা্ত্র ছেলে ও বিশিষ্ট রাজনীতিক মরহুম আব্দুল হামিদের নাতি। আহত অপরজনের নাম মাজহার। তিনি মেন্দিবাগ এলাকায় বসবাস করেন। বাড়ী কানা্‌্ইঘাট বলে জানা গেছে।

এলোপতাড়ী কুপিয়ে হাসানের দুই হাতের বাহু কনুই ও কবজি হাড় কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীচক্র। ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে পায়ের উরু থেকে গোড়ালী পর্যন্ত ১১টি কুপ মেরেছে দুবৃর্ত্ত চক্র। ব্যাপক রক্তক্ষরণে জীবন আশঙ্কাজনক। হাত পা চুড়ান্ত ঝুঁকির মুখে।

হাসান মাহমুদ সিলেট ইন্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে সিভিল ইন্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। তিনি সিলেট ইন্জিনিয়ারিং কলেজ  ছাত্রলীগ ্এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপশহর থেকে কদমতলি যাওয়ার পথে মেন্দিবাগ পয়েন্টের অনতিদুরে প্রিন্সে হোটেলের সামনে পৌছাা মাত্র হেলমেট ও মাস্ক পরিহিত ৬/৭ জন অস্ত্রধারী যুবক হাসানের গাড়ীর গতিরোধ করে এলোপাতাড়ী কূপাতে থাকে।

জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসান

প্রাণরক্ষায় হাসান ও তার সঙ্গীয় অপর জন কার থেকে নেমে দৌড় দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা এলোপাাতাড়ী কুপাতে থাকে। হাসানেরে এক হাতের তিনটি আঙ্গুল বিচিচ্ছন্ন করে ও হাত কেটে ফেলে।  পায়ের রগ কেটে দেয় । মাজহারের হাত ও পা চিরতরে অকেজো হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।

দুর্বৃত্তরা হাসানের কারের ব্যাপক ভাংচুর করে

। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের ধাওয়ার মুখে দুর্বৃত্তরা সটকে পড়ে। হাসান ও মাজহারকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ৯ টার দিকে ঢাকার উদ্যেশে রওয়ানা দেন তারা।

কারা কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি। হাসানের পরিবারের লোকজন জানান, তার জ্ঞান থাকাবস্থায় মুর্শেদ ও নাবিল নামে দুজন হামলা করেছে বলে জানিয়েছেন হাসান।

এদিকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী এ হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করছেন অনলাইন প্লাটফর্মে। ছাত্রলীগ নেতা কিশোয়ার জাহান সৌরভ এই হামলাকে বর্বর পৈশাচিকতা উল্লেখ করে ছাত্রদলকে অভিযুক্ত করে তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট আপলোড করেছেন।

ঘটনাস্থলের আশপাশে সিটিটিবি ক্যামেরা রয়েছে একাধিক। ফুটেজ অনুসন্ধান করলেই দুবৃত্তদের সনাক্ত করা সম্ভব। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। হামলায় ভাংচুর হওয়া রক্তমাখা গাড়িটি উদ্ধারেও পুলিশ কোন তৎপরতা চালায়নি। ছাত্রলীগ ট্যাগ আর ছাত্রদল পরিচয় দিয়ে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবার কৌশল নিচ্ছে।