সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৮, ২০১৯
আলহামদুলিল্লাহ। একটি রোযা ও দুটি তারাবী আমরা আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। সবই মনিবের ইচ্ছা। আমরা যারা আদায় করতে পেরেছি তারা সৌভাগ্যবান। আমাদের আশেপাশে অনেকেই রয়েছেন যারা সৌভাগ্যবানদের তালিকাভূক্ত হতে পারেননি। আল্লাহ রাব্বুল
আলামীনের করুণাপ্রাপ্ত না হলে ইবাদত করারও সৌভাগ্য জুটেনা। এজন্য বেশী করে আল্লাহ পাকের করুণা কামনা করা মুমিনদের জন্য জরুরী। বিশেষ করে রামাদ্বানে।
গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম রোযার ইতিহাস প্রসংগে। আমার পড়াশোনার পর্যালোচনায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম, রোযার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এবং আদম (আ:) থেকে শ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ (সা;) এর উম্মত পর্যন্ত বিভিন্ন নবীদের উম্মতের উপর রোযার বিধান ছিল।
এই যে আদম (আ:) থেকে শ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ (সা;) এর উম্মত পর্যন্ত যে বিধান টি আল্লাহ পাক জারি রাখলেন। তার উদ্যেশ্য কি? আল্লাহ পাক তো উদ্যেশ্যহীনভাবে তার বান্দাদের উপর কিছু জারি করেননি। ঠিক তেমনি রোযার একটা উদ্যেশ্য রয়েছে নিশ্চিত। আমরা অনেকেই তা জানি, হয়তো পুরোপুরি জানিনা বা জেনেও আমল করতে পারিনা।
আজকের এই আলোচনায় আমরা জানা বিষয়টি আবার জেনে নেই। গভীর মননে বিষয়টি ভেবে দেখি। একেবারে সরল বাক্যে,
রোজা রাখার উদ্দেশ্য হলো (১), আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা,
(২) পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং(৩) নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা।
পবিত্র কুরআনে সূরা বাকারার ১৮৩নং আয়াতে বলা হয়েছে,
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো”।
‘তাকওয়া’ ব্যাপক অর্থবহ এক শব্দ। প্রত্যেকেই সাধ্যানুযায়ী এর ব্যপকতা বুঝবার চেষ্টা এবং সে অনুযায়ী জীবনাচার পরিচালিত করা উচিৎ। বিভিন্ন গ্রন্থ, বিশেষজ্ঞদের অভিমত পর্যালোচনা করে ‘তাকওয়া’ প্রসঙ্গে বলা যায়:
‘তাকওয়া’ শব্দটির মূল অর্থ ‘রক্ষা করা।’ এর অনুবাদ করা হয়েছে নানাভাবে। যেমন পরহেজগারি, আল্লাহর ভয়, দ্বীনদারি, সৎ কর্মশীলতা, সতর্কতা প্রভৃতি।
— সূরা বাকারা: ১৮৫ নং আয়াতে আরও বলা হয়েছে,
“রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।”
রোজা ঢালের মতো কাজ করে, যা গোনাহের হাত থেকে বাঁচায়।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি