রোযার উদ্যেশ্য ও উপকারিতা

প্রকাশিত: ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১০, ২০১৯

রোযার উদ্যেশ্য ও উপকারিতা

মহান আল্লাহর ৯৯ এর অধিক নামের অন্যতম হলো ‘আল হাকীম’। ‘আল হাকীম’ অর্থ হিকমতওয়ালা, বিজ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়। হিকমত ও প্রজ্ঞা হলো সর্বকর্ম যথাযোগ্যভাবে নৈপূণ্যেরসাথে সম্পাদন করা। মহান আল্লাহর এই নামের দাবী এই যে, তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন অথবা মানুষের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন তার প্রত্যেকটার পশ্চাতে আছে পরিপূর্ণ যুক্তি ও হিকমত। তা কেউ বুঝতে সক্ষম হোক বা না হোক।
যে রোযা আল্লাহ পাক বান্দার উপর ফরয বা বিধিবদ্ধ করেছেন তার মাঝে রয়েছে অভাবনীয় যৌক্তিকতা ও অচিন্তনীয় উপকারীতা।
আব্দুল হামীদ ফায়যী তাঁর (ভাষান্তরিত) রমযান স্বাগতম গ্রন্থে অত্যন্ত চমৎকারভাবে রামাদ্বানের উপকারীতা বিন্যাস করেছেন।
(১) রোযা হলো এমন এক ইবাদত যার মাধ্যমে বান্দা প্রভূর নৈকট্য লাভ করতে সক্ষম হয়। এতে সে প্রকৃতিগতভাবে যা ভালবাসে তা বর্জন করে, বর্জন করে সকল প্রকার পানাহার ও যৌনক্রিয়া। আর এর মাধ্যমে সে নিজ প্রতিপালকের সন্তুষ্টি কামনা করে। আশা করে পরকালের সাফল্য ও বেহেশত লাভ। এতে এই কথাই স্পষ্ট হয় যে, সে নিজের প্রিয় বস্তুর উপর প্রভূর প্রিয় বস্তুকে প্রাধান্য দেয় এবং ইহকালের জীবনের উপর পরকালের জীবনকেই শ্রেষ্টত্ব দেয়।
(২) রোযাদার যথানিয়মে রোযা পালন করলে রোযা তাকে রোযা তাকে মুত্তাকী ও পরহেযগার বানাতে সহায়ক হয়। তার জীবনপথে তাকওয়া ও পরহেযগারীর আলো বিচ্ছুরিত হয়।
(৩) রোযা আত্মাকে তরবিয়ত দান করে। চরিত্রকে সভ্য ও আদর্শভিত্তিকভাবে গড়ে তোলে। রোযাদারের আচরণে উৎকৃষ্টতার স্থায়িত্ব আনয়ন করে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ