রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তার আশ্বাস

প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০১৮

প্রভাতবেলা প্রতিবেদকঃ

চীন বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ বাসভূমিতে ফেরার ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুন) এক সাক্ষাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে এ মতামত জানিয়েছেন চীন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকরা।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ির আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে এখন চীনে রয়েছেন। আজ শুক্রবার সফরের শেষ দিন। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের কাছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থা তুলে ধরেন।

 

জাতিসংঘ ও অন্যান্য সাহায্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিকবাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমারের পশ্চিমের রাজ্য রাখাইনে হত্যা, ধর্ষণসহ ঘর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

 

চলতি বছরের মে মাসে জাতিসংঘ জানায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি।

 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চীনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর দফতরের মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সোয়ে’র সঙ্গে বেইজিংয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়ার ব্যাপারে তাদের কথা হয়।

আরও পড়ুন  জুড়ীতে আন্তর্জাতিক র‌্যাপিড রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

 

ওয়াং ই বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার এরইমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা সত্যিই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া দেখতে চাই। বিশেষ করে প্রথম পর্যায়ের প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব দেখতে চাই।

 

তিনি আরও বলেন, চীন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে এবং যৌক্তিক ভূমিকা রাখবে। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য চীন আবাসন নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশেও তাবু নির্মাণ ও মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে চীন। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্য দিয়ে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শুরু হবে বলে মনে করি।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কিশানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি বিশেষ করে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।

 

চীনা নেতা কিশান বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে অবদান রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার ও গভীর করতে তার দেশের অব্যাহত সমর্থন দেয়ার আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন  নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে: প্রেস সচিব

 

বৈঠকে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম উপস্থিত ছিলেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিং করা হয় এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।

 

সর্বশেষ সংবাদ