প্রভাতবেলা প্রতিবেদক:  নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ বাংলাদেশী নারী হুসনে আরা পারভীনের (৪২) বাড়ি সিলেটে। তিনি স্বামীর সাথে নিউজিল্যান্ডে থাকতেন। অসুস্থ স্বামী ফরিদ উদ্দিনের খোঁজ নিতে গিয়েই পারভীন মারা যান বলে জানা গেছে।
ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মিরেরচক গ্রামে। আর হুসনে আরা পারভীন এর বাবার বাড়ী সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গাল হাটা গ্রামে। পারভীনের পিতা মৃত নুরুদ্দিন। ১৯৯৪ সালে বিয়ে হওয়া এই দম্পত্তির এক কন্যাসন্তান রয়েছে।। সর্বশেষ ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন।
ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে এই সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন বাংলাদেশী শহীদ হবার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় পারভীন শাহাদাত বরণ করলেও বেঁচে গেছেন তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন।
পারভীনের ভাগ্নে মাহফুজ চৌধুরী জানান, বিয়ের পর স্বামীর সাথে নিউজিল্যান্ড যান হুসনে আরা পারভীন। তারা ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় বসবাস করতেন। তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন কিছু দিন ধরে প্যারালাইজড অবস্থায় আছেন। হামলার প্রায় আধঘণ্টা আগে মসজিদে অসুস্থ স্বামীকে রেখে পাশে নারীদের জন্য মসজিদে যান হুসনে আরা। প্রায় ১৫ মিনিট পর পুরুষদের মসজিদের ভেতরে গুলির শব্দ শুনে পারভীন তার স্বামীর খোঁজ নিতে যান। এ সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
নিজের খালু বেঁচে আছেন জানিয়ে মাহফুজ চৌধুরী বলেন, মসজিদের বাইরে গুলির শব্দ শোনার সাথে সাথে কয়েকজন মুসল্লি হুইল চেয়ারে করে তাকে (ফরিদ উদ্দিনকে) মসজিদ থেকে বের করে নেয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন। নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী নিহত পারভীনের ভাবী হিমা বেগম ঘটনার পর টেলিফোনে সিলেটে থাকা পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান।
মাহফুজ চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসী হামলার প্রায় এক ঘণ্টা পর হিমা বেগম ফোন করে পারভীন খালার নিহতের খবরটি আমাদের জানিয়েছেন। তখন বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সকাল ১০টা।

জানা গেছে শহিদ পারভীনের স্বামী  ফরিদ আহমেদ সিলেট পলিটেকনিকের সাবেক জিএস ও  ইসলামী ছাত্র শিবির নেতা।