ঐক্যফ্রন্ট-জামায়াত নিয়ে অলির বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়

প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২০

ঐক্যফ্রন্ট-জামায়াত নিয়ে অলির বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়

প্রভাতবেলা ডেস্ক:

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি, জামায়াত ও ২০ দলীয় জোট নিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির একাংশের সভাপতি ড. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমদ বীর বিক্রম বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তার এই মন্তব্য নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটে চলছে তোলপাড় ।

সম্প্রতি আমেরিকা প্রবাসী এক সাংবাদিকের পরিচালিত ‘দ্য গ্রিন’ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অলি আহমদ এমন অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন, যা নিয়ে রীতি মতো চমকে উঠেছেন ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

সাক্ষাৎকারে অলি আহমদ বলেছেন, ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট গঠন করা হয়েছিল, সেটা ছিল মূলত বিএনপিকে নির্বাচনে নেওয়ার জন্য। তাদের মিশন ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে চিরতরে ক্ষমতার বাইরে রাখা। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিছু মেও মেও করা বিএনপি নেতা।

অলি বলেন, আমাকে যখন ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তখন আমি সরাসরি না করে দিয়েছিলাম। কারণ ড. কামাল হোসেন একজন নাম করা আইনজীবী। তার সঙ্গে আইন পেশা মানায়, রাজনীতি নয়।

আরও পড়ুন  ৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেন যেখানে সভা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন, সেখানে জয় বাংলা বলে শুরু করেছেন, জয় বঙ্গবন্ধু বলে শেষ করেছেন। একটি বারও জিয়াউর রহমানের নাম এবং খালেদা জিয়ার নাম পর্যন্ত মুখে উচ্চারণ করেননি। এই ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল মূলত বিএনপির সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য।

জামায়াত প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল বলেন, বর্তমানে জামায়াতে ইসলামিতে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। এখন যারা নেতৃত্বে আছেন, তারা স্বাধীনতা বিরোধী নন, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা যখন জীবিত ছিলেন, তখন বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করেনি। হঠাৎ করে বিএনপি কেন জামায়াতকে ছেড়ে দিচ্ছে, তা আমার বোধগম্য নয়।

সাক্ষাৎকারে অলি আহমদ ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে যাদের দাওয়াত দেওয়া হয়, তাদের যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও কথা বলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তিনি ২০ দলের কোনো মিটিংয়ে যাননি এবং শেষের কয়েকটি মিটিংয়ে এলডিপির কোনো প্রতিনিধি পাঠাননি বলেও জানান।

আরও পড়ুন  নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাস জানাতে হবে : ফখরুল

কেন পাঠাননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদের সঙ্গে বৈঠক হয়, তারা আমাদের সমকক্ষ নন বলে যাইনি। কাদের সঙ্গে বসে মিটিং করব। যেখানে খালেদা জিয়া নেই, সেখানে আমার যাওয়া সমীচীন নয়। আর পজিশন কী সেটা আমি নিজেই জানি না। আমাকে একবার বলা হলো ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক, একবার বলা হলো সমন্বয়ক। তারপরে কী আর জানতে পারিনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ