নানা ছলে বলে কৌশলে সমাজে মিশে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে ফ্যাসিবাদের দোসররা। আওয়ামী দালাল, ছাত্র-গণহত্যার যোগানদাতা, খুন ,গুম, ধর্ষণ ,চাদাবাজি, ছিনতাই সহ নানা অপকর্মে জড়িতরা ধীরে ধীরে ভীড়ছে লোকালয়ে। কখনো বিএনপি- জামায়াতের ঘাড়ে চড়ে। কখনো গণমাধ্যম নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায়। আবার এদের এইসব অপকৌশল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা গণমাধ্যমে ছবি সংবাদ প্রকাশ -প্রচার হলে উচ্চিস্টভোগী কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করে উঠে কতিপয় দলান্ধ স্বার্থান্বেষীচক্র। প্রভাতবেলা প্রতিবেদক♦

আওয়ামী দালাল, ছাত্র-গণহত্যার যোগানদাতা, খুন ,গুম, ধর্ষণ ,চাদাবাজি, ছিনতাই সহ নানা অপকর্মে অভযিুক্তদের অন্যতম মাহমুদ হোসেন। আওয়ামী দুঃশাসনকালে সাংবাদিক পরিচয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীর অবস্থান জানাত পুলিশকে। ১৯ জুলাই সিলেট কোর্ট পয়েন্টে সাংবাদিক তুরাবের সাথে সে ছিল। এই মাহমুদসহ আরো ৫/৬ জন ফটো সাংবাদিক অকুস্থলে থাকা সত্তেও গুরুতর আহত তুরাবকে নিয়ে কেউ ওসমানী হাসপাতালে যায়নি। একজন অটোরিকশা চালক ( সিএনজি) আহত তুরাবকে নিয়ে হাসপাতালে যান। শুধু তা-ই নয়। কোর্ট পয়েন্টে তুরাবকে ডেকে নিয়েছিল (ফোন কলে) এই মাহমুদ। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া মাহমুদ এখন প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে।

দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস ঊন নূর শুরু থেকেই দাবী করছেন কে তুরাবকে কেন ডেকে নিয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে হবে। একজন সহকর্মী গুরুতর আহত হলো কেউ তার সাথে হাসপাতালে গেল না। তা রহস্যজনক। তুরাব হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়গুলো সচেতনভাবে দেখতে হবে।

এই মাহমুদকে কে বা কারা পূণর্বাসন করছেন তা নিয়ে জিয়ার সৈনিক  ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করা হয়েছে ।

তা হুবহু তুলে ধরা হলো;

“ সাপ্লাই এলাকা আমাদের বিএনপির ছাত্রদলের ঘাঁটি l সেখানে রাহেল সিরাজকে রাজনীতি করতে গুন্ডামি করতে বসানো হয়েছিলো l কথিত আছে রাহেল সিরাজকে শেল্টার দিতেন বিয়ানীবাজারের এককালের ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক নামধারী এই মাহমুদ l তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ জুলাই আগস্ট আন্দোলন দমনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ l ১৭ ই জুলাই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ করে মাহমুদ তার টাইমলাইনে লিখেছিলো ” শিবিরময় শাবি ” ! চার অগস্ট মধুবন মার্কেটে তার দ্বায়িত্ব সিলেটের সাংবাদিকরা যেন ছাত্রলীগ যুবলীগ সন্ত্রাসীদের অস্ত্রসহ ছবি তুলতে না পারে l সেই সবাইকে ভয় দেখিয়ে বারন করতো l আরেকটি ভয়ঙ্কর বিষয় তাকে নিয়ে l ৩ ও ৪ আগস্ট সে অনেকের কাছে বলেছে ” সিলেট আওয়ামীলীগ যে অস্ত্রপাতি এবার নামাচ্ছে তা এবার ইতিহাস হবে ” বিএনপি জামাত পাইলেও গুলি ! ইতা অস্ত্র সিলেটে আগে কেউ দেখেনি l এবং তার কথায়-ই সত্যিই হয় l তাহলে প্রশ্ন জাগে – এসব অস্ত্র, কেনাকাটা সব কিছুই কি মাহমুদ জানতো ? নাকি সেও জড়িত ? খুনি পুলিশ কর্তা আজবাহার ও দস্তগীরের ঘনিষ্ট ছিলো মাহমূদ l অনফিল্ড পুলিশকে বিএনপি জামাত চেনাতে মাহমুদরাই হেল্প করতো l তোরাব যেদিন নিহত হন – সেদিন মাহমুদরা তাদের মিশন বাস্তবায়ন করে গেছেন l এবার আসি ভিন্ন প্রসঙ্গে l জুলাই আগস্টে মাহমুদদের আদর্শের সরকারের পতনের পর মাহমুদরা এতদিন ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে ছিলো l তবে কোন অদৃশ্য শক্তির সমর্থনে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে অত্যাধুনিক অস্ত্র নামিয়ে বিএনপি জামাত নিধনের স্বপ্ন দেখা এই ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক নামধারী মাহমুদ l এবার সরাসরি মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সাথে হাস্যউজ্জ্ল ভঙ্গিতে ক্যামেরাবন্দি হলেন এই মাহমুদ l বিপিএলের প্রথম দিন এই দৃশ্য দেখা যায় l অদ্ভুত রাজনীতি ! অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী যেখানে পাসই পাননি সেখানে বিয়ানীবাজারের সাবেক ছাত্রলীগনেতা জুলাই আগস্ট আন্দোলন দমনের হোতা মাহমুদদের গলায় শোভা পায় বিপিএল পাস ۔۔???”