গারো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে কাজু বাদাম

প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২৩

গারো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে কাজু বাদাম

প্রভাতবেলা ডেস্ক:

শেরপুরের গারো পাহাড়ে এবার পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চমূল্যের কাজু বাদামের চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে এসব এলাকার বাগানগুলোর কাজু বাদাম পরিপক্ক হতে শুরু করেছে এবং চাষিদের মুখে হাসিও ফুটতে শুরু করেছে। ফলে সীমান্তের পাহাড়িদের মনে আশার আলো জেগে উঠেছে। সেই সঙ্গে অবহেলিত ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরে যেতে পারে এ উচ্চমূল্যের কাজু বাদাম চাষে।

 

তারা মনে করছেন পাহাড়ি অনেক অনাবাদি জমিতে আমদানি নির্ভর এ কাজু বাদাম চাষ করলে দেশের অর্থকড়িতে যোগ হবে নতুন ফসল। তেমনি স্থানীয় বেকারত্বের সমস্যার সমাধানসহ নতুন কর্মক্ষেত্রেরও শুরু হবে।

 

শেরপুরের এ পাহাড়ি মাটি খুবই উৎকৃষ্ট হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই গাছগুলোতে বাদাম আসতে শুরু করেছে এবং আগামিতে আরো ফলন বাড়বে বলে আশা করছে বাগান কৃষকেরা। এদিকে গারো পাহাড়ে আমদানি নির্ভর এ উচ্চমূল্যের কাজু বাদামের চাষ হচ্ছে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে কৃষি উদ্যোক্তা ও বেকার যুবক বাগান দেখতে ছুটে আসছে এবং তারাও বাণিজ্যিকভাবে এ লাভজনক কাজু বাদাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।

আরও পড়ুন  পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

 

ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনি এলাকার বাগানের কৃষক সোলেমান বলেন, কৃষি বিভাগের এ পাইলট প্রকল্প হচ্ছে এ কাজু বাদাম চাষ। আমার বাগানে গতবছর থেকেই ফুল আসতে শুরু করে এবং এবার ফুল ও ফল হয়ে পাকতে শুরু করছে। আমার ৫০ শতক জমিতে ২ শত গাছ রয়েছে। গত তিনবছরে আমার সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি আগামী বছর থেকে ফলন আরো বাড়বে এবং প্রতি গাছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি করে বাদাম পাওয়া যাবে। এতে ৮ শত থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বাদাম বিক্রি করা যাবে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, উচ্চ মূল্যের এ কাজু বাদাম দেশের নতুন অর্থকরী ফসল। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কাজু বাদামের উৎপাদন বাড়ানোর প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দেশে এ ফসলের অনেক ঘাড়তি রয়েছে। প্রতিবছর এই আদাম আমদানি করতে প্রচুর টাকা ব্যায় করতে হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ