পক্ষান্তরে আমার পৈতৃক সম্পত্তির উপর নির্মিত মজিদ মার্কেটে স্থানীয় বাসিন্দা জাঙ্গীরাই নিবাসী মৃত: জলকু মিয়ার পুত্র জুড়ী থানা পুলিশের খাতায় তালিকাভুক্ত দালাল আং জব্বার একটি দোকান কোঠা ভাড়া নিয়ে ফার্নিচার ব্যবসা শুরু করে। ৩-৪ বছর নিয়মিত ভাড়া দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় হঠাৎ করে মাসিক ভাড়া দিতে গড়িমসি শুরু করে।
আমরা ৬ ভাই। সবাই রেমিটেন্স যোদ্ধা। দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে থাকি। আমার বৃদ্ধ বাবা ভাড়াটিয়া জব্বারকে ভাড়া পরিশোধ করার জন্য বারবার তাগদা দিলেও সে কর্নপাত করেনা। আমরা নিরীহ মানুষ। সে এলাকার চিহ্নিত একজন বাটপার। সে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নিজেকে একজন ইউপি সদস্য (মেম্বার) পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটাতে চায়। সে একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারক, অন্যের সম্পদ লুন্টনকারী ও মাদক সেবনকারী।
সে আমার পিতার অনুমতি ছাড়া আমার পিতার নামের মজিদ মার্কেটের পিছনে জোর পূর্বক টিনসেড দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করে কারখানার নামে উঠতি বয়সী যুবকদের নিয়ে সেখানে দিনরাত মন, জুয়া ও ইয়াবা সেবন করে যাচ্ছে। ভয়ে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেনা। আমার বৃদ্ধ বাবা বাধা দিলে সে মামলা দিয়ে উচিত শিক্ষা দিবে বলে হুমকি দেয়।
আমরা বাড়ীতে না থাকায় তার ইচ্ছে মতো আমাদের মালিকানা দোকানে ফার্নিচার ব্যবসার আড়ালে এমন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আব্দুল জব্বার আমাদের কে বার বার হুমকি দিচ্ছে। আমার ছোট ভাইয়ের কর্মস্থল কাতার গমন যে কোন মূল্যে ঠেকাবে বলে সে বলে বেড়াচ্ছে। একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসী হিসেবে আপনাদের মাধ্যমে এর প্রতিকার কামনা করি। গত ২৮মার্চ ২০২১ ইং তারিখে আমার সৌদি প্রবাসী দুই ভাই ছুটিতে দেশে আসেন। আসার পর থেকে ভাড়াটিয়া দোকানদার আং জব্বারকে ভাড়া পরিশোধ করে দোকান ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করিলে নতুন ভাবে সে হয়রানির নতুন ফন্দি পাতে। জব্বার একজন চতুর ও বাটপার লোক। সে আমার ভাইদ্বয় যাতে ছুটি থেকে বিদেশে যেতে না পারে, সে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে গত ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং রাতের আধারে আমার পৈতৃক সম্মত্তি মজিদ মার্কেটের পিছনের কারখানা নামক মাদকের আড্ডা খানায় জব্বার তার সাঙ্গ পাঙ্গ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
পরদিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জব্বার তার কারখানা থেকে সকল মালামাল রাতে সরিয়ে নিয়ে আমাদের পরিবারকে হয়রানির উদ্দ্যেশে নিজেই আগুন ধরিয়েছে। পরদিন জব্বার জুড়ী থানায় গিয়ে আমার সৌদি প্রবাসী দুই ভাইকে আসামী করে মামলা করতে চাইলে পুলিশ ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানতে পেরে মামলা গ্রহণ করেন নাই। পরে সে আমার দুই ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকানোর অসৎ উদ্দ্যেশ্যে গত ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২১ইং তারিখ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, মৌলভীবাজার বরাবর একখানা অভিযোগ দায়ের করে (যার নং ৭৮/২০২১ইং)। সে মামলার এজাহারে ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমাদের পারিবারিক বিরোধের জেরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে।