সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২৪
এ ঘটনা মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। হতদরিদ্র অসহায় নারী পারুল বেগম। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তার জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। পরে নিজ বাড়ির পাশে মিশন বাজরে ছোট একটি পানের দোকন দিয়ে শুরু করেন ব্যবসা। তবে অর্থের অভাবে খুব বেশিদিন টিকে রাখতে পারেনি তার এই ছোট্ট ব্যবসাটি। পরে সকলের সহযোগিতায় কিছুদিন তার ভরণপোষণ ব্যবস্থা করে দিলেও এরপর বাজরের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় পারুল বেগম দেওয়া হয় মিশন বাজারে রাত্রিকালীন নাইট গার্ডের কাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের এক মাসের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে সংসার জীবনের জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকা শহরে। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এখন ছামিউল হক নামের একমাত্র ভাগিনা ছাড়া আপন বলতে কেউই নেই পারুলের। বোনের মৃত্যুর পর নিজ সন্তানের মতো লালন করেছেন তাকে। দোকান পাহারা দেওয়ার বিনিময়ে যা পান তা দিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে তাদের দিন কেটে যায়। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এক খণ্ড জমিতে মাটি দিয়ে গড়ে তোলা ঝুপড়ি ঘরে তার বসবাস। ভাগিনা ছামিউলসহ সেখানেই থাকেন তিনি। মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় বাকি জীবন সুন্দরভাবে কাটাতে সরকারি সহযোগিতা চান জীবন যুদ্ধে হার না মানা এই নারী।
বাজারের নাহিদা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী নাহিদ হোসেন বলেন, আমি আগে ঢাকায় ছিলাম। আমি যখন থেকে এখানে ব্যবসা শুরু করি তখন থেকে পারুল আপা আমাদের বাজারে নৈশ্য প্রহরীর কাজ করেন। উনি যেভাবে বাজারের দোকান-পাট পাহারা দেয় একজন পরুষ মানুষ হয়েও পারবে না। উনি বাজারে রাতে পাহারা দেয় বলে আমরাও নিশ্চিন্তে বাসায় ঘুমাতে পারি।
নৈশ্য প্রহরী পারুল বেগম বলেন, জীবন জীবিকার তাগিদে আমি রাতে বাজার পাহারা দেওয়ার জন্য নাইট ডিউটির কাজ নিয়েছি। প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর এ কাজ করে আসছি। মাত্র চার হাজার টাকা পাই তা দিয়ে খুব কষ্ট করে একমাত্র ভাগিনাকে নিয়ে থাকি। একটা মেয়ে মানুষ হয়েও এ কাজ করি কারণ অন্য কোনো কাজ পাই না। কাজ না করলে খাব কি? বেঁচে থাকার জন্য বাধ্য হয়ে এ কাজ বেছে নিয়েছি। এখন আমার থাকার মতো একটা ভালো ঘর নাই। যেটা আছে বৃষ্টি হলে ঘরে পানি পড়ে। মাঝে মঝে মানুষের বাসায় ঘুমাই। আমাকে যদি সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা করা হয় তাহলে একটু ভালোভাবে চলতে পারব।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি