১৬ বছরেও কাটেনি সিডরের আতঙ্ক

প্রকাশিত: ১:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২৩

১৬ বছরেও কাটেনি সিডরের আতঙ্ক
ভয়াল ১৫ নভেম্বর আজ। ২০০৭ সালের এই দিনে সুপার সাইক্লোন সিডর লণ্ডভণ্ড করে দেয় বরগুনাসহ উপকূলের বেশ কয়েকটি জেলা। জেলায় কোনো আবহাওয়া অফিস না থাকায় সিডর থেকে শুরু করে হামুন, সবকটি ঘূর্ণিঝড়েই সতর্কবার্তা পেতে দেরি হয়েছে, এমন অভিযোগ বরগুনাবাসীর। ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে বরগুনায় একটি আবহাওয়া অফিসের দাবি তাদের।

 

২০০৭ সালের এই দিনে ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের সঙ্গে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস নিয়ে বরগুনা উপকূলে আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন সিডর। সরকারি হিসেবে এতে শুধু বরগুনায় মারা যায় ১ হাজার ৪৩৫ জন। নিখোঁজ হয় দেড় হাজার মানুষ। বাতাস ও পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হয় ৬৮ হাজারের বেশি ঘর-বাড়ি।

 

সিডরের পর আইলা, মহাসেন, ফণী, সিত্রাং সবশেষ হামুন আঘাত হানে বরগুনা। এসব ঘূর্ণিঝড়ে মানুষকে সচেতন করা সংগঠনগুলো বলছে, বরগুনায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় তাদের অপেক্ষা করতে হয় ঢাকা থেকে সংকেত পাবার। পরে মানুষের কাছে সতর্কতা পৌঁছাতে পৌঁছাতে অবস্থান পরিবর্তন হয় ঘূর্ণিঝড়ের, এ জন্য বাড়ে প্রাণ-হানি।

আরও পড়ুন  চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের একি হাল !

বরগুনা সিপিপি দল প্রধান জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, ‘ঢাকা আবহাওয়া অফিস প্রথমে আবহাওয়া অধিদপ্তরকে। সেখান থেকে সিপিপি সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার জেলা–উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়। তথ্যগুলো আসতে বিলম্ব হয়।’

 

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে বরগুনায় একটি আবহাওয়া অফিস নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। দাবি পূরণে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

 

স্থানীয় বাসিন্দা জালাল মিয়া বলেন, ‘আমরা আবহাওয়ার সিগন্যালটা জানি দেরিতে সেই কারণে মৎস্যজীবীরা জানতে পারেন না কৃষকরা জানতে পারেন না। এই কারণে আমাদের সম্পদের একটা ক্ষতি হয়। সরকার যাতে দ্রুত নজর দেন এই অঞ্চলে আবহাওয়া অফিস নির্মাণের জন্য।

 

বরগুনা জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মৎস্যজীবী। নদী বা সমুদ্রে তারা যায়। মাছ শিকার করে জীবিকানির্বাহ করে। সেক্ষেত্রে সিডর পরবর্তী সময় থেকে বরগুনার মানুষের আবহাওয়া অফিসের দাবি ছিল। তাদের ধারণা সেটা হলে তারা দ্রুত সিগনাল পাবে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করব।’

আরও পড়ুন  ছাত্রলীগ নেতার কান্ডজ্ঞান !

 

ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর থেকেই একটি আবহাওয়া অফিসের দাবি জানিয়ে আসছেন বরগুনাবাসী।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ