সিলেট ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৪
আহমদ মারুফ :
এক লাফে হোল্ডিং ট্যাক্স-এর উত্তাপে নগরজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নতুন নির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্সকে অযোক্তিক ও অনায্য দাবি করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। শিগগিরই বিষয়টির সুরাহা না হলে নগরবাসী বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন তারা।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে নির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য ফিল্ড সার্ভে হয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে। ২০২১ সালের আগস্টে তৎকালীন সিসিক পরিষদের বিশেষ সভায় সেটি পাস হয়। কর ধার্য্যের অর্থবছর নির্ধারণ করা হয় ২০২১-২২ সাল। ওই অ্যাসেসমেন্টে মোট ৭৫ হাজার ৪শত ৩০ টি হোল্ডিংয়ে ১ শত তেরো কোটি ২৭ লক্ষ ৭ হাজার ৪ শত ৪৫ টাকা লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেটি অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলে পরে ২০২১ সালের অক্টোবরে তা অনুমোদিত হয়।
‘যদি কারো হোল্ডিং-এর ভাড়া মূল্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা হয়, তবে নিজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কর ভিত্তি হিসাবের জন্য তার হোল্ডিং-এর বার্ষিক মূল্য হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং হোল্ডিং ট্যাক্স-এর পরিমাণ হবে বার্ষিক ১২ হাজার টাকা। তবে সিসিক ছাড় দিয়েছে। যেমন- রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ ২ মাসের ভাড়া মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ (যদি) ১০ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এছাড়া মালিক নিজে ভবন ব্যবহার করলে, ভবনের বার্ষিক মোট মূল্য থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ অর্থ ছাড় দেয়ার পর অবশিষ্ট ভাড়া মূল্যের উপর আরও ৪০% ছাড় দেওয়া হয়েছে। সব ছাড়ের পর (মাসিক ভাড়া ১০ হাজার হিসাব ধরে) বার্ষিক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নয়, অর্ধেক ভাড়া অর্থাৎ- ৬০ হাজার টাকার করের ভিত্তি হিসাবে বার্ষিক হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এমন অভিযোগ নগরের প্রায় সব ভবন মালিকদেরই। পুননির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্স সম্পর্কে অবহিত ও আপত্তিগ্রহণ করতে নগর ভবনের সামনে আলাদা বুথ স্থাপন করেছে সিসিক। প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এই বুথে ভিড় করছেন। তারা সবাই নতুন নির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল হক হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির হারে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, নগরের প্রায় পৌনে এক লাখ ভবনমালিকের হোল্ডিং ট্যাক্স ৫ থেকে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটা নগরবাসীর উপর এক ধরণের জুলুম। একলাফে এতোটা কর বাড়তে পারে না। এই অনায্য কর বাতিলের দাবি জানান তিনি।
সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, বিষয়টি নগরবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা যেতে পারে। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ভিতর ঘাপটি মারা আমলারা এই অস্থিরতা তৈরি করেছেন।
হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে এমন অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত মেয়রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে নগরবাসীর সঙ্গে সিসিক মতবিনিময় করে শতকরা কতভাগ ট্যাক্স বাড়াবে তা নির্ধারণ করতে পারত। তবে সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি, বর্তমান হোল্ডিং ট্যাক্সের কার্যক্রম স্থগিত করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্সের হার নির্ধারণ করতে হবে। যারা হোল্ডিং ট্যাক্স দেয় তাদের উপর বোঝা না চাপিয়ে নতুন ট্যাক্সদাতা তৈরি করা উচিত।
লেখক: কবি-সাংবাদিক
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি