ছাতকেই হবে ডা. মঈনের দাফন

প্রকাশিত: ১২:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২০

ছাতকেই হবে ডা. মঈনের দাফন

 

প্রভাতবেলা প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা যাওয়া সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীনকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় দাফন করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল।

তিনি আরও বলেন, তার গ্রামের বাড়িতে দাফনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ডা. মঈনের মরদেহ রাস্তায় রয়েছে। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে জানাযা বা দাফনের সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি বলেও জানান তিনি।

 

বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে সাতটায় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক ডা. আয়েশা আকতার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ সকালে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’

 

বর্তমানে সিলেটের হাউজিং এস্টেট এলাকায় বসবাস করা ডা. মঈন উদ্দিনের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে চিরবিদায় নিলেন তিনি। ডা. মঈনের স্ত্রীও একজন চিকিৎসক।

আরও পড়ুন  সেই ডিআইজি মিজানকে তলব

 

প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল সিলেটে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রথম আক্রান্ত রোগী হিসেবে এই চিকিৎসককে সনাক্ত করা হয়। সেদিন রাতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর বরাত দিয়ে ওই রোগীর কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়ার তথ্য জানান সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল।

 

তখন তিনি জানান, আক্রান্ত চিকিৎসক বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শনিবার তার রক্তের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করলে রোববার বিকেলে রিপোর্ট পজিটিভ আসার কথা জানানো হয়। তবে ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেও সে সময় জানান সিভিল সার্জন। তখন থেকেই তিনি বাসায় সেলফ আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ডা. মঈন উদ্দিন সিলেটে কর্মরত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন সিলেটের সিভিল সার্জন।

 

পরে ৭ এপ্রিল রাতে তার শারীরিক অবস্থায় অবনতি হলে আশঙ্কাজনক বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেয়া হয়। প্রথমে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হলেও পরে সাড়ে ১১টার দিকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়।

আরও পড়ুন  জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

 

তবে পরদিন ৮ এপ্রিল সকাল থেকে তিনি একটু ভালো ছিলেন বলে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানালেও পরিবারের ইচ্ছায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় এই চিকিৎসককে। সেদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয় তাকে। সেখানেই ৭দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সকাল পৌনে সাতটায় তিনি মারা যান।

 

প্রভাতবেলা/এমএ

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ