রাজশাহীতে পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২০

রাজশাহীতে পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হারুনুর রশীদের প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ঘটনায় বুধবার (২ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। সংবাদদাতা, রাজশাহী।

 

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন- সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত এএসআই হারুনুর রশীদের অর্থ নেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। বিষয়টি পুলিশ সুপারের নজরে আসলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রত্যাহার করে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। তার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজটি করোনাকালে লকডাউনের সময়কালের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

 

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে- সম্প্রতি তাহেরপুর বাজারের একটি মোবাইল ফোনের দোকানে ঢুকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এএসআই হারুন। জলন্ত সিগারেট হাতে রেখে সে দোকানদারের সঙ্গে দেন-দরবারের পর দুই হাজার টাকা ঠিক হয়। পরে টাকা হিসেব করে দেখে তিনি আরও এক হাজার টাকা দাবি করেন। পুরো টাকা নিয়েই তিনি এক পর্যায়ে দোকান ত্যাগ করেন। বুধবার ওই ভিডিওটি ভাইরাল হলে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়।

আরও পড়ুন  কন্যার সহপাঠী চাচাতো বোনের সাথে যৌনাচার||ধর্ষণের অভিযোগ

 

 

এদিকে ঘুষ নেয়ার ভিডিও প্রকাশের পর এএসআই হারুনের চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, আটক ও মাদকবাণিজ্যে তার সম্পৃক্ততার অনেক কাহিনী বের হয়ে আসছে।

 

 

 

তাহেরপুর পৌরসভার এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লকডাউনে দোকানপাট খুললেই এএসআই হারুনকে ঘুষ দেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। এএসআই হারুনের মূল কাজই ছিল দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি করা আর মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা।

 

 

 

তিনি জানান, লকডাউনের সময়ে বাগমারার রামরামা গ্রামের আজাদ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবাসহ আটক করে এএসআই হারুন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। হাজরাপুকুর গ্রামের সুবদের ছেলে গাঁজা ব্যবসায়ী সনাতন দাসকে মাদকসহ আটকের পর টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন এবং জব্দকৃত গাঁজা হারুন আরেক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন।

 

 

স্থানীয়রা অভিযোগে আরও জানান, তাহেরপুরের পার্শ্ববর্তী পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের ইমন নামে এক ছাত্রকে ১০টি ইয়াবা দিয়ে সাজানো মামলায় চালান করেন হারুন। পারিবারিক কলহের জেরে প্রতিপক্ষ এএসআই হারুনকে টাকা দিয়ে এই কাজ করায়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ